টেকনাফে চাঁদাবাজি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে ইমরান নামে এক পুলিশ সদস্য মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত পুলিশ সদস্যকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় বলে জানা গেছে।
জানা যায়, চাঁদাবাজির মামলায় উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা এটিএম শামসুদ্দিনকে ধরতে গেলে এ হামলার শিকার হয় পুলিশ সদস্য ইমরান।
বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি নুর মোহাম্মদ বলেন, যুবলীগ নেতা এটিএম শামসুদ্দিন শামলাপুর বাজারে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে যায় বাহারছড়া ফাঁড়ির পুলিশ। একপর্যায়ে শামসুকে ধরে ফেলে পুলিশ। পরে সে পুলিশ সদস্যকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। তাকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী ৩ নং ওয়ার্ডে রাস্তা কাটতে বাধা দেওয়ার কারণে স্থানীয় ও নারিশ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে এর জের ধরে বাহারছড়া শীলখালী এলাকার যুবলীগ নেতাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় নারিশ কোম্পানির প্রতিনিধিরা চাঁদাবাজির মামলা করেন। তবে এটাকে ‘মিথ্যা’ চাঁদাবাজির মামলা বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে শুক্রবার বিকালে আয়োজিত এক মানববন্ধনে স্থানীয়রা বলেন, বিষয়টি যদি সমাধানে না আসে ভবিষ্যতে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেকোনো সময় দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। নানা কাজে ব্যবহৃত রাস্তাটি যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের দখলে চলে যায়, তাহলে এলাকাবাসী সুবিধাবঞ্চিত হবে। এছাড়া ব্যবসা বাণিজ্যের ও ক্ষতিসাধন হবে।