আসামি ছিনিয়ে নিতে ডাকাত বলে পুলিশের ওপর হামলা

তিন পুলিশ আহত, পরে গ্রেপ্তার ৩

আনোয়ারা প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৯ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আবুল বশর (৬০) নামের এক সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ৩ পুলিশ গুরুতর আহত। গত বুধবার রাত সাড়ে ৯ টায় উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চুয়ানীর বাপের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ২৮ ও অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার পর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আনোয়ারা থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চুয়ানীর বাপের বাড়ির মৃত নুর আহমদের পুত্র আবুল বশর (৬০) আদালতের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় গত বুধবার রাত সাড়ে ৯ টায় আনোয়ারা থানার একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে বশরকে গ্রেপ্তার করার সময় উভয় পক্ষে বাকবিতণ্ডা হয়। এর পর আসামির পরিবার ও স্থানীয়রা ডাকাত-ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যেরও মাধ্যমে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার পরও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি বশরকে ছিনিয়ে নেওয়ার হয়। হামলায় এসআই আবু মুসা, এএসআই মোহাম্মদ নয়ন মিয়া ও কনস্টেবল জ্ঞানতোষ চাকমা গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেনের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মো. লিটন (২৩), তার ছেলে আইয়ূব আলী (২৩) ও ভাগিনা এহাছানুল হককে (৩০) গ্রেপ্তার করে ।
বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধরতে এসে পুলিশের ওপর হামলার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার কাজে সহায়তা করি। এই ঘটনা দুঃখজনক।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, গত বুধবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বরুমচড়া ইউনিয়নের সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবুল বশর (৬০) কে গ্রেপ্তার করার পর তার পরিবার ও স্থানীয় লোকজন পুলিশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরও ডাকাত-ডাকাত বলে চিৎকার করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে ৩ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। তারা আসামি বশরকে ছিনিয়ে নেয়। পরে রাতেই পুলিশের অভিযানে ৩ আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত ২৮ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিশু ধর্ষণের দায়ে কক্সবাজারে যুবকের যাবজ্জীবন
পরবর্তী নিবন্ধকাউন্সিলর প্রার্থী বালি একদিনের রিমান্ডে