চট্টগ্রাম আদালতে হাজতখানায় হত্যা মামলার আসামিদের ছবি তোলা নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আইনজীবী ও পুলিশের মধ্যে হট্টগোল, হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে হাজতখানার চার পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে। গতকাল বিকাল সাড়ে তিনটা নাগাদ চট্টগ্রাম নতুন আদালত ভবনে হাজতখানায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যাহার করে নেয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, কনস্টেবল হাসনাত, রাজন, আসাদ ও শাহজাহান।
এবিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন গতকাল আজাদীকে বলেন, হাজতখানার পুলিশ সদস্যরা আমাদের দুই আইনজীবীকে লাঞ্ছিত করেছে এবং হাজতখানায় অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। এ ঘটনায় আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করি।এবিষয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কমিশনারকে জানালে উনারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ দেখে উক্ত চার পুলিশ সদস্যকে হাজতখানা থেকে ক্লোজ করা হয়েছে।হাজতখানার বাকী সব পুলিশ সদস্যকেও পর্যায়ক্রমে আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনের পর প্রত্যাহার করে নেয়া হবে।
ভুক্তভোগী আইনজীবী মুহাম্মদুল্লাহ মোজাহের আজাদীকে বলেন, সাংবাদিক দিয়ে কয়েকজন আসামির ছবি তোলার জন্য অন্যায়ভাবে হাজতখানার লকআপ থেকে বের করে এনে পুলিশ বারান্দায় ঘোরাঘুরি করছিল। এসময় আসামিদের ছবি তোলা হয়। এটা অনিয়মের মধ্যে পড়ায় ঘটনাস্থলে থাকা হাজতখানার পুলিশকে এবিষয়ে প্রতিবাদ করি। এসময় পুলিশ আমাদের দুইজন আইনজীবীকে মারধর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আগ্রাবাদে মারুফ হত্যা মামলার আসামি মোস্তফা কামাল টিপুসহ পাঁচজনের ছবি তোলা নিয়ে আইনজীবী ও পুলিশের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।