সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১৫ আসামির আদালতে বক্তব্য প্রদান গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। আসামি বরখাস্ত এসআই নন্দ দুলালের বক্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে আদালতে সকল আসামির বক্তব্য প্রদান শেষ হয়। আসামিরা কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় এ বক্তব্য প্রদান করেন। পরে আদালত এই মামলার যুক্তিতর্কের জন্য আগামী ৯, ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে নন্দ দুলালের বক্তব্য প্রদান শুরু হয়। আগেরদিন সোমবার এই মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামির মধ্যে ১৪ জন তাদের লিখিত বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করেন। বিচারক আসামিদের প্রত্যেককে নিজেদের অপরাধের বিষয়ে সরাসরি জানতে চেয়েছেন। লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি ওসি প্রদীপসহ অন্য আসামিরা মৌখিকভাবে বিচারকের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, মামলার ৮৩ সাক্ষির মধ্যে ৬৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষে গত সোমবার কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় ১৪ জন আসামী আদালতে তাদের লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। মঙ্গলবার অপর আসামি নন্দ দুলাল তার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরে আসামিদের দেয়া বক্তব্য নিয়ে আদালত পর্যালোচনাও করেছেন। তিনি জানান, আদালতের বিচারক সকল আসামিকে পৃথকভাবে তাদের বক্তব্য নিয়ে সরাসরি সওয়াল-জবাব করেন। আগামী ধার্য তারিখে যুক্তিতর্ক শুরু হবে। গত বছরের ৩১ জুলাই ঈদুল আযহার আগের রাতে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়ার এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে খুন হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনার ৫ দিন পর ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্তের পর গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারীরা কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।











