আসল স্বর্ণ ফেলে ইমিটেশনের গহনা নিয়ে যায় খুনি

মীরসরাইয়ে সাজেদা হত্যায় আসামির স্বীকারোক্তি

মীরসরাই প্রতিনিধি | শনিবার , ২৭ জুলাই, ২০২৪ at ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাইয়ে বিদেশি স্বর্ণের নেকলেস চুরি করতে গিয়ে নিজের বোনের শাশুড়িকে খুনের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেন অভিযুক্ত তারিকুল ইসলাম। গতকাল চট্টগ্রাম জজ কোর্টের বিশেষ আদালতে তারিকুল ইসলাম খুনের বর্ণনা সহ স্বীকারোক্তি দেন। মীরসরাই থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, মীরসরাই সদরে খুন হওয়া সাজেদা আক্তারের কন্যা আছিয়া চৌধুরী মীরসরাই থানায় বাদী হয়ে মায়ের হত্যার একটি এজাহার দায়ের করেন। অভিযুক্ত মাওলানা তারিফুল ইসলামকে ( ৩৫) আদালতে নিয়ে গেলে ১৬৪ ধারায় আদালতে খুনের বর্ণনা সহ স্বীকারোক্তি প্রদান করেন তিনি। পুলিশ হত্যাকারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা ৪৩ হাজার টাকা, একটি ইমিটেশনের নেকলেস, হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহার করা ছুরি ও রক্তাক্ত জামা আদালতে জমা দেয়।

ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, মজার বিষয় হলনিহতের পুত্রের বিদেশ থেকে আনা বিদেশি নেকলেস মনে করে আসামি যে নেকলেসটি খুনের পর আলমারি থেকে নিয়ে গেছে সেটি এমিটেশনের। অথচ একই ঘরের পাশের রুমের আরেকটি আলমিরাতে বিদেশি স্বর্ণের নেই নেকলেসসহ প্রায় ১৫ ভরি গহনা রয়ে গেছে। যা সুরক্ষিতই ছিল।

তিনি বলেন, খুনি আদালতে স্বীকার করেছে যে, সে একাই হেলমেট পরে ঘরে গিয়ে প্রথমে দরজা বন্ধ করে দিয়ে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে যাবার জন্যই বোনের শাশুড়ির হাতপা বেঁধে ফেলে। এরপর রান্না ঘর থেকে ছুরি এনে সেটি দিয়ে জবাই করে। সেই ছুরি আবার স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকার সাথে নিয়ে যায়।

ওসি আরও বলেন, প্রাপ্ত তথ্যে আরো জানা গেছেএই মাওলানা একজন মেধাবী শিক্ষক ও ইমাম। নজির আহমদ মাদ্রাসায় ও প্রতিষ্ঠানের অনেক টাকার হিসেবের গরমিলের জন্য চাকুরিচ্যুত হন। এলাকায়ও অনেকের কাছ খেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার করেছেন। আবার শ্বশুর বাড়ি থেকেও বিপুল পরিমাণে অর্থ নিয়েছেন। নিহত মহিলার ছোটপুত্রের কাছ থেকে মিথ্যা গল্প বানিয়ে ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। তবে এসব টাকা কোথায় গেছে তা কেউ জানে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেই ফার্নিচার মিস্ত্রির সন্তানের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন মেয়র
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপি নেতাদের নির্যাতন করে আদালতে তোলা হচ্ছে : ফখরুল