সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতনতা, নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন ইন্টারনেট ব্যবহার এবং গুজব বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে দুর্বার। জাতীয় পর্যায়ে পোস্টার ডিজাইন প্রতিযোগিতা, রচনা লিখন প্রতিযোগিতা এবং ভিডিও নির্মাণ প্রতিযোগিতা-এই তিন ক্যাটাগরিতে পুরো দেশ থেকে কয়েক হাজার প্রতিযোগী অংশ নেয়। সেখান থেকে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়। ভিডিও নির্মাণ প্রতিযোগিতায় কয়েক হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হন বাঁশখালীর ছেলে এবং বাঁশখালী এক্সপ্রেসের সিইও রহিম সৈকত।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির উদ্যোগে তিন মাসব্যাপী ‘আসল চিনি’ ক্যাম্পেইনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গত ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক। এতে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হন সৈকত। রানারআপ হয়েছেন মো. রাকিবুল ইসলাম।
পোস্টার ডিজাইন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন আমরান আহমেদ। বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছেন জুনায়ানা রহমান মুনতাহা। যৌথভাবে প্রথম রানারআপ হন শ্যামল সাহা ও মো. মেজবা-উল হোসেন। রচনা লিখন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন মো. সাজিদ ইকবাল। যৌথভাবে প্রথম রানারআপ হন তানিয়া ও শেখ আল-আমিন। যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন জিনিয়া আক্তার ঋতু ও আকিলা ফারুক ওহী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক ও এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, এলআইসিটি প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার সামি আহমেদ, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফ হাসান অপু ও গুজবের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণকারী তসলিমা বেগম রেনুর মামা নাসির উদ্দিন টিটো। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিজিটাল কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট হাসান বেনাউল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার বিষয়ের গভীরে না গিয়ে আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক প্লাটফর্মে অনেকেই দেশ, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ ও তৎপর থাকতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির শক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ার পজিটিভ ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে রহিম সৈকতের নির্দেশনায় চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের বীরাঙ্গনা’ চট্টগ্রামে বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৮ সালে তার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জন্মভূমি’ আনোয়ারা উপজেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়। চলতি বছর ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি’ শিরোনামের ডকুমেন্টারি আনোয়ারা উপজেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়। সমপ্রতি তিনি এটুআইয়ের অধীনে শিক্ষক বাতায়নের জেলা অ্যাম্বাসেডর মনোনীত হয়েছেন।