আসলাম চৌধুরী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে চার্জগঠন পিছিয়েছে

৩২৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৭:১০ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রায় ৩২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় চার্জগঠন পিছিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চার্জগঠনের জন্য দিন ধার্য থাকলেও বিচারক না থাকায় তা হয়নি। মামলাটি বর্তমানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আগামী ১ মার্চ চার্জগঠনের জন্য নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসূলি সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, সংশ্লিষ্ট এ আদালতে দীর্ঘদিন বিচারক নেই। ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিয়েই চলছে বিচার কাজ। কিন্তু বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত বিচারকও ছুটিতে আছেন। যার কারণে চার্জগঠন সম্ভব হয়নি। আশা করছি আগামি ধার্য তারিখে এ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়ে যাবে।
২০১৭ সালের ৭ আগস্ট আসলাম চৌধুরী ও তার পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন মৃধা। উক্ত তিন সদস্য হলেন, আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী রাইজিং স্টিল মিল লিমিটেডের চেয়ারম্যান জামিলা নাজনীন মাওলা, ছোট ভাই ও একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমজাদ হোসেন চৌধুরী এবং পরিচালক জসীম উদ্দিন চৌধুরী। আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসলাম চৌধুরী বর্তমানে কারাগারে থাকলেও মামলার অপর তিন আসামি পলাতক। এর মধ্যে আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী জামিন গিয়ে পলাতক এবং বাকি ২ জন ঘটনার পর থেকে পলাতক। এর আগে ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলাটি হয়। মামলার বাদী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস। তবে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুজন পদস্থ ব্যাংক কর্মকর্তাকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্র থেকে বাদ পড়া দুজন হলেন এবি ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম ফজলুর রহমান এবং একই ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের হিসাব ও অডিট বিভাগের বর্তমান জিএম বদরুল হক খান। এ দুজনকে গত বছরের ১৬ জুলাই মামলা করার পরপরই গ্রেপ্তার করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এবি ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে তিনটি এলসির বিপরীতে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়ার বিপরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জামানত না নিয়ে শুধু ১৭ কোটি ৪০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা দামের দুটি জমির দলিল এবং ট্রাস্ট রিসিপ্ট ও তিনটি চেক জামানত হিসেবে গ্রহণ করে ব্যাংক। পুরনো জাহাজ কেনাবেচার ব্যবসায় নিয়োজিত রাইজিং স্টিল কোম্পানিকে ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে ব্যাংকটির সে সময়ের এমডি ও ডিএমডি নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে ঋণ অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব না পাঠালেও এমডি-ডিএমডি ওই প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ দেওয়ার নির্দেশ দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবরকল ভুষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
পরবর্তী নিবন্ধচবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে যুবক আটক