আসন ৯৫৩০, আবেদন এক লাখ ৩৫ হাজার

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগরীতে সরকারি কলেজ রয়েছে ৮টি। কলেজগুলো হলচট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি কলেজ, সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি কমার্স কলেজ, বাকলিয়া সরকারি কলেজ, কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ এবং চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। এই আট কলেজের তিন বিভাগে মোট আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৫৩০টি। তবে এই সংখ্যক আসনের বিপরীতে কলেজগুলোতে ভর্তির আবেদনে চয়েস পড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি (১ লাখ ৩৫ হাজার ২৮৫ টি)। গত ৮ জানুয়ারি কলেজের একাদশে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। যা ১৭ জানুয়ারি মধ্য রাতে শেষ হয়। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে করা আবেদনে কলেজগুলোতে এই সংখ্যক চয়েস দিয়েছে আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কলেজ পরিদর্শক বলেন, একজন আবেদনকারীর নূন্যতম ৫টি কলেজে এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে চয়েস দেয়ার সুযোগ ছিল আবেদনে। সে সুবাদে একই আবেদনকারী এই ৮ কলেজের সবকয়টিতে বা ৫৭টিতে চয়েস দেয়ার সুযোগ পেয়েছে। যার কারণে এই ৮ কলেজে চয়েসের মোট সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। যদিও কতজন শিক্ষার্থী এই সংখ্যক চয়েস দিয়েছে, তা বের করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষাবোর্ডের তথ্য মতে, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে একাদশে ভর্তিতে এবার ১ লাখ ৪৩ হাজারের সামান্য বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। আবেদনে এসব শিক্ষার্থীর মোট চয়েস সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮৩ হাজার। এর মাঝে মহানগরের সরকারি ৮টি কলেজের আবেদনে চয়েস পড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি। শিক্ষাবোর্ডের কলেজ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ৪০টি। কলেজটিতে ভর্তির জন্য আবেদনে চয়েস পড়েছে ২০ হাজার ৪৯৪টি।

হাজী মুহাম্মদ মহসীন সরকারি কলেজে মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ৭৩৫টি। আর আবেদনে চয়েস পড়েছে ২৬ হাজার ৯৫৪টি। সরকারি সিটি কলেজে আসন সংখ্যা ২ হাজার ১৫০টি। আবেদনে চয়েস পড়েছে ৩৩ হাজার ১৭৪টি। চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে তিন বিভাগের আসন সংখ্যা ১ হাজার ৪০০টি। আর আবেদনে চয়েস পড়েছে ১৫ হাজার ১৯৩টি। সরকারি কমার্স কলেজের ৮৫০ আসনের বিপরীতে চয়েস পড়েছে ৩ হাজার ৭১৩টি। বাকলিয়া সরকারি কলেজের আসন সংখ্যা ১ হাজার ৩৫৫টি। আবেদনে চয়েস পড়েছে ২২ হাজার ৭৫৯টি। চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে আসন ৮২০টি। আবেদনে চয়েস পড়েছে ১০ হাজার ৭১৪টি। কলজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের একাদশে ১৮০টি আসন রয়েছে। আবেদনে চয়েস পড়েছে ২ হাজার ২৮৪টি।

তবে আসনের সমান সংখ্যক (সাড়ে ৯ হাজার) শিক্ষার্থী এসব কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে।

বাকিদের বেসরকারি কোন কলেজ বা শহরের বাইরের কোন কলেজ খুঁজে নিতে হবে।

হিসেবে ভালো ফল করেও প্রথম সারির কলেজ হিসেবে পরিচিত এসব কলেজে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হবে বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে। যদিও সব শিক্ষার্থীই কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে বলে জানান শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক।

তিনি বলেন, এবার ১ লাখ ৪৪ হাজারের সামান্য বেশি শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করেছে। আর বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে মোট আসন সংখ্যা দেড় লাখের বেশি। সে হিসেবে কোন শিক্ষার্থীই ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে না। প্রত্যাশিত কলেজে ভর্তির সুযোগ হয়তো পাবে না।

শিক্ষাবোর্ডের তথ্য মতে, মহানগরের ৮টি সরকারি কলেজে মোট আসন রয়েছে ৯ হাজার ৫৩০টি। এর মধ্যে বিজ্ঞানে ৩ হাজার ৪০০, মানবিকে ২ হাজার ৫৩০ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৩ হাজার ৬০০টি আসনে ভর্তির সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, একাদশে ভর্তিতে প্রথম পর্যায়ের আবেদন শেষ হলেও আবেদনে পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে ২৪ জানুয়ারি (আজ) পর্যন্ত। আর প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৯ জানুয়ারি। ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে ২ মার্চ থেকে একাদশে ক্লাস শুরু হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅর্ধেক জনবলে অফিস চলবে আজ থেকে
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা