লায়ন্স জেলা গভর্নর এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, মহামারী–উত্তর বিশ্বপ্রকৃতি ও পরিস্থিতি ক্ষুধা দারিদ্র্য সংঘাতে জর্জরিত। মূল্যস্ফীতির কারণে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি মানবিক পরিবেশকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এমতাবস্থায় শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হলে অতীত চর্চা থেকে বেরিয়ে এসে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিপূর্ণ বর্তমানের প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে।
তিনি গত শুক্রবার রাতে লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫বি ৪ বাংলাদেশের দ্বিতীয় জেলা কেবিনেট মিটিং ও অক্টোবর সেবা মাসের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। প্রতিবেশীসহ সমাজের কম সৌভাগ্যবান মানুষগুলোর প্রতি অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি সহানুভূতিশীল হওয়ার জন্য তিনি সর্বস্তরের লায়ন সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
কেবিনেট সেক্রেটারি লায়ন আবু বক্কর সিদ্দিকীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অক্টোবর সেবা মাস উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রথম ভাইস জেলা গভর্নর লায়ন কোহিনূর কামাল। বক্তব্য রাখেন সদ্যপ্রাক্তন জেলা গভর্নর লায়ন শামসুদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী, দ্বিতীয় ভাইস জেলা গভর্নর ও অক্টোবর সার্ভিস কমিটির কো–চেয়ারম্যান লায়ন মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ অপু, প্রাক্তন জেলা গভর্নরস ফোরামের চেয়ারম্যান লায়ন এম এ মালেক, চিটাগং লায়ন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন নাসির উদ্দীন চৌধুরী, কেবিনেট ট্রেজারার ইমতিয়াজ ইসলাম, রিজিয়ন চেয়ারপার্সন–১ ও অক্টোবর সার্ভিস কমিটির সেক্রেটারি এস এম আবু তৈয়ব।
পিডিজি ফোরামের চেয়ারম্যান লায়ন এম এ মালেক ‘যেখানেই প্রয়োজন সেখানেই একজন লায়ন’ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে মানব সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চারপাশের কম সৌভাগ্যবান অসহায় মানুষগুলোর জন্য আমাদের অনেক বেশি দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ক্যান্সার হাসপাতালের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, চট্টগ্রামে প্রথম পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতালের প্রায় ৩০ কোটি টাকার ফান্ড সংগ্রহে লায়ন সদস্যসহ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। তিনি এজন্য সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চিটাগং লায়ন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন জেলা গভর্নর নাসির উদ্দীন চৌধুরী বলেন, অনেকে বলেন লায়নিজমে পাওয়ার কিছু নেই। এটা সত্য না। আমরা যারা লায়ন্স ক্লাবের সদস্য তারা প্রত্যেকে যার যার সামর্থ্য অনুসারে মানবতার জন্য আমাদের অর্থকড়ি খরচ করি। সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি করি, তা হলো আমাদের জীবনের মহাগুরুত্বপূর্ণ কিছু সময় ব্যয় করি। সুতরাং কিছু যদি না পাই তাহলে কেন আমরা আমাদের মূল্যবান সময়, শ্রম এবং অর্থকড়ি ব্যয় করবো? হ্যাঁ, আমরা যেটা পাই তা হলো ফেলোশিপ বা বন্ধুত্ব এবং শিখি লিডারশিপ বা নেতৃত্ব। আমরা বন্ধুত্বের একটি বিশাল জগত পাই। যা আমাদের জীবন চলার পথ অনেক বেশি আনন্দময় করে। মানুষের দিকে হাত বাড়ানোয় যে সুখ তা আমরা লায়নিজমে এসে পেয়ে থাকি।
অক্টোবর সেবা কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন জেলা গভর্নর লায়ন নজমুল হক চৌধুরী, লায়ন আলহাজ্ব রফিক আহমেদ, লায়ন সিরাজুল হক আনসারী, লায়ন মোহাম্মদ মোসতাক হোসাইন, লায়ন শাহ আলম বাবুল, লায়ন মঞ্জুর আলম মঞ্জু, লায়ন আল সাদাত দোভাষ, জয়েন্ট কেবিনেট সেক্রেটারি লায়ন আ জ ম সাইফুল ইসলাম টুটুল, জয়েন্ট কেবিনেট ট্রেজারার লায়ন মো. ইউসুফ চৌধুরী, গ্লোবাল অ্যাকশন টিমের জেলা কো–অর্ডিনেটরবৃন্দ জিএলটি লায়ন এস এম আশরাফুল আলম আরজু, জিএমটি লায়ন জাহাঙ্গীর মিয়া, জিএসটি গাজী লায়ন মো. শহীদুল্লাহ, এলসিআইএফ লায়ন মোহাম্মদ আবু মোরশেদ, জিইটি লায়ন নিশাত ইমরান, লিও–লায়ন লিয়াজোঁ লায়ন নূর মোহাম্মদ বাবু, অক্টোবর সার্ভিস কমিটির ট্রেজারার অঞ্জন শেখর দাশ প্রমুখ।