আল মাহমুদ বাংলা কবিতার প্রতিনিধিত্বশীল অন্যতম প্রধান কণ্ঠস্বর। তিনি কবিতায় কালের ইতিহাস ধারণে সত্যনিষ্ঠ ছিলেন। লোকজ শব্দ ও উপমায় আধুনিক কবিতার শরীরকে অলংকৃত করে স্বতন্ত্র কাব্যভাষায় মননশীল পাঠকদের হৃদয় জয় করেছেন কবি আল মাহমুদ।
গত শুক্রবার দৈনিক আজাদী মিলনায়তনে ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গনের আয়োজনে বাংলা কবিতার প্রবাদ পুরুষ কবি আল মাহমুদের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণানুষ্ঠানে বক্তারা এই কথাগুলো বলেন। ক্বণন সভাপতি আবৃত্তি শিল্পী মোসতাক খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বক্তব্য রাখেন ক্বণন কার্যকরী পরিষদ সদস্য আবৃত্তি শিল্পী সৌভিক চৌধুরী এবং আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ মুহাম্মদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্বণন সদস্য মুহতারিমা। বক্তারা বলেন, তাঁর কবিতায় প্রতিভাত হয়েছে মাটি, মানুষ ও স্বদেশের চেতনালব্ধ দেশপ্রেম। সাহিত্যবোদ্ধা ও কাব্যমোদীদের চর্চা ছাড়াও বাচিক শিল্পীরা আল মাহমুদের কবিতা অধিগত বা আত্মস্থ করেছে এবং বাচিক শৈলীতে ও স্বরমাধুর্যে শত-সহস্র কণ্ঠে আবৃত্তি করেছে, করছে এবং করবে। কারণ এই দেশবরেণ্য কবি মানুষের দ্রোহ, সংগ্রাম, প্রেম ও মানবতাবাদী চেতনাকে অত্যন্ত সার্থকভাবে কাব্যমন্ডিত করেছেন বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
এরপরে ছিল আল মাহমুদের কবিতা নিয়ে একক আবৃত্তি করেন সৌভিক চৌধুরী, আবসার তানিম, শুভ্রা চক্রবর্তী, প্রেমা চৌধুরী ও আবদুল মুনয়িম আসরা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।