ভারতীয় মুসলিমদের নিয়ে সমপ্রতি একটি ডকুমেন্টারি বা তথ্যচিত্র তৈরি করেছে আল জাজিরা। ডকুমেন্টারিটি প্রদর্শনে এবার বাধা দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ভারতের মুসলিমদের দুর্দশা নিয়ে বানানো এই ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের বিরোধিতায় একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল উচ্চ আদালতে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই আপাতত এই ডকুমেন্টারি প্রদর্শন মানা করেছে আদালত। দায়ের করা মামলার শুনানি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। যদিও ডকুমেন্টারিটাকে সরাসরি নিষিদ্ধ করেনি আদালত। খবর বাংলানিউজের।
জানা গেছে, আল–জাজিরার ডকুমেন্টারিটার নাম-‘ইন্ডিয়া… হু লিট দ্য ফিউজ? এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি অশ্বিনী কুমার মিশ্র এবং বিচারপতি অশুতোষ শ্রীবাস্তবের পর্যবেক্ষণ, এই ডকুমেন্টারি দেখানো হলে তার ফল ভালো হবে না। এই আবহে সরকারকে এই ডকুমেন্টারির বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখতে বলেছে হাইকোর্ট। এর আগে যাতে এই তথ্যচিত্রটি কোনোভাবেই দেশে প্রদর্শিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দেশের সামাজিক সমপ্রীতি রক্ষা এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আল জাজিরার তথ্যচিত্রটির প্রদর্শনী আটকাতে জনস্বার্থ মামলা করেন সুধীর কুমার নামক এক সমাজসেবক। তার যুক্তি, এতথ্যচিত্র প্রদর্শিত হলে দেশর দুই সমপ্রদায়ের মধ্যে সমপ্রীতির আবহাওয়া নষ্ট হবে। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হবে। তাছাড়া ডকুমেন্টারির জেরে দেশে অশান্তি ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন মামলাকারী। নিজের আবেদনে মামলাকারী দাবি করেন, তিনি বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরেছেন যে, ডকুমেন্টারিতে ভারতের মুসলিমদের অবস্থা দেখানো হয়েছে। মামলাকারীর দাবি, তথ্যচিত্রে দেখানো বিষয়বস্তুর সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। এদিকে এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষের আইনজীবী মামলাকারীর বিরোধিতা করেননি। মামলাকারী দাবি করেন, এই তথ্যচিত্রটি ভারতে দেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন বা সার্টিফিকেট নেয়নি আল জাজিরা। মামলাকারীর এই দাবি মেনে নেয় সরকারপক্ষের আইনজীবী। এদিকে মামলার শুনানিতে আল–জাজিরার পক্ষ থেকে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে আবেদনকারীকে আদালত নির্দেশ দেয়, যাতে তিনি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আল–জাজিরাকে নোটিশ পাঠিয়ে এই মামলার পার্টি হতে বলেন।












