আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)

অধ্যক্ষ মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি

| শনিবার , ২২ জুন, ২০২৪ at ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ

যুগে যুগে আল্লাহর মনোনীত নবী রসূলগণ দ্বীনের সুমহান বাণী সর্বত্র প্রচার করেছেন, পরবর্তীতে ছাহাবায়ে কেরাম, তাবিঈন, তবঈ তাবিঈন, বুজুর্গানে দ্বীন, আউলিয়ায়ে কামিলীনের নিরলস ত্যাগ ও সাধনার বদৌলতে ইসলামের সুবিশাল ইমারত বিনির্মিত। তাঁদের অক্লান্ত কর্মতৎপরতা ও শ্রমের বিনিময়ে ইসলামের সুমহান আদর্শ আজ পৃথিবীর দিগ দিগন্তে প্রচারিত, প্রসারিত। মুসলিম মিল্লাতের কাছে তাঁদের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয়, তাঁদের জীবনাদর্শ অনুসরণীয়, অনুকরণীয়। বেলায়তের উচ্চাসনে সমাসীন, আধ্যাত্মিক সাধক, সত্যের প্রচারক, অলীয়ে কামেল রাহ্‌নুমায়ে শরীয়ত ও তরীক্বত হযরত আল্লামা আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন তাঁদের অন্যতম।

জন্ম : গাউসে জামান, মুর্শিদে বরহক্ব আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হিজরি ১৩৩৬ মুতাবেক ১৯১৬ সনে পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের বর্তমান হাজারা ছিরিকোট শেতালু শরীফের প্রখ্যাত অলীয়ে কামিল হযরত সৈয়্যদ আহমদ শাহ্‌ সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র ঔরসে সৈয়্যদ বংশের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। বংশ পরম্পরায় তিনি রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র চল্লিশতম অধঃস্তন পুরুষ। তিনিই ছিলেন আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ্‌ সিরিকোটী রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র একমাত্র ছাহেবজাদা।

শিক্ষা জীবন : তিনি স্বীয় পিতা আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ আহমদ শাহ্‌ সিরিকোটী রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র সান্নিধ্যে থেকে ১৯২৭ সালে এগার বছর বয়সে কোরআন শরীফ হিফ্‌জ সমাপ্ত করেন। ইল্‌মে কিরআতেও বিশেষ ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। অতঃপর সুদীর্ঘ ১৬ বৎসর সম্মানিত আব্বাজানের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে তাফসীর, হাদীস, ফিক্বহ, উছূল, নাহু, ছর্‌ফ, মানতিক, আক্বাইদ, দর্শন, হিকমত, ফালসাফা, আরবী, উর্দু, সাহিত্য, তাসাউফ, মারিফাত, তরীক্বত এক কথায় জ্ঞানের বিভিন্ন সূক্ষ্ম বিষয়ে অসাধারণ পাণ্ডিত্য অর্জন করেন।

আল্‌ কোরআনের তত্ত্ব বিশ্লেষণ, তাৎপর্য অনুধাবন, মর্ম উদ্‌ঘাটন ও অনাবৃত গুপ্ত রহস্যাবলী উন্মোচনের প্রয়াসে তিনি তাফসীর ও হাদীস শাস্ত্র অধ্যয়নে মনোনিবেশ করেন এবং তৎকালীন যুগের শ্রেষ্ঠ আলেমেদ্বীন প্রখ্যাত তাফসীরকার ও হাদীসবেত্তা আল্লামা ছরদার আহমদ শাহ লায়লপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি মমতাজুল মুহাদ্দিসীন (লায়লপুর) এর সান্নিধ্যে থেকে তাফসীর ও হাদীস শাস্ত্রে গভীর প্রজ্ঞা ও পান্ডিত্য অর্জন করেন। ২৭/২৮ বছর বয়সে ১৯৪৩/৪৪ এর দিকে কৃতিত্বের সাথে শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেন।

স্বভাব চরিত্র : বাল্যকাল থেকে তিনি ছিলেন নির্মল অনিন্দ্য সুন্দর অনুপম চরিত্রের অধিকারী। ইসলামী আদর্শে আদর্শবান, তাঁর পবিত্র জীবন ছিল সুন্নাতে রসূলের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। কথাবার্তা, আচারআচরণ, চালচলন, নৈতিকতা, মানবতা উদারতা, দানশীলতা, আতিথেয়তা, ন্যায়ের পথে দৃঢ়তা, পারস্পরিক হৃদ্যতা, সহনশীলতা, সার্বিকভাবে তিনি ছিলেন, আদর্শস্থানীয়, সর্বোপরি সদালাপী, মিষ্টভাষী, মিতব্যয়ী, সত্যবাদী ও ন্যায়ের মূর্তপ্রতীক।

বায়আত গ্রহণ ও খিলাফত অর্জন : আধ্যাত্মিক পূর্ণতা সাধনের নিমিত্তে কামিল ব্যক্তির হাতে বায়আতের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। হুজুর ক্বিবলা রহমাতুল্লাহি আলাইহি একজন কামিল পীরের সন্ধানে ব্রতী হন।

বুজুর্গ পিতার সাথে ১৯৫৮ সালে ৪২ বছর বয়সে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) তাশরীফ আনলে চট্টগ্রাম অবস্থানকালে হযরাতে মাশায়েখ কেরামদের ইঙ্গিতে স্বীয় পিতা কর্তৃক সিরিকোট দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন নিযুক্ত হন শরীয়ত তরীক্বতের বহুমুখী খিদমত আঞ্জামদানে অর্পিত দায়িত্বাবলী পূর্ণ নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন এবং তরীক্বতের বিভিন্ন স্তর সাফল্যের সাথে অতিক্রম করে বেলায়তে ওজমা ও গাউসে যামান এর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হন।

বাংলাদেশ আগমন : ১৯৪২ সনে ২৬ বৎসর বয়সে সর্বপ্রথম চট্টগ্রামে শুভাগমন করেন। এ বৎসরই আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে খতমে তারাবীহ নামাযে তাঁরই ইমামতিতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লী খতমে কোরআন শুনার সৌভাগ্য অর্জন করেন। তাঁর সুললিত কণ্ঠে পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত শুনে মুসল্লীরা মুগ্ধ হন। ১৯৫৮ সালে ৪২ বছর বয়সে তাঁর পিতার সাথে চট্টগ্রাম আগমন এবং ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক সাহেবের বাসায় অবস্থান করেন। তাঁর ৪৫ বছর বয়সে বুজুর্গ পিতা ইন্তিকাল করেন। তাঁর ওয়ালেদে মুহ্‌তারমের ওফাতের পর ১৯৬১ হতে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রত্যেক বছরই বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) তাশরীফ এনেছিলেন এবং পরবর্তী ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই এদেশে শুভাগমন করেন। ১৯৮৬ সাল ছিল বাংলাদেশের শেষ সফর। ১৯৮৬ সাল হতে ১৯৯৩ সালের ওফাতের পূর্ব পর্যন্ত চিঠিপত্র ও টেলিফোন মারফত দেশ বিদেশের অসংখ্য ভক্ত অনুরক্ত ও তাঁর পরিচালনাধীন প্রতিষ্ঠান সমূহের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ ও সংবাদ আদান প্রদানের মাধ্যমে শরীয়ততরীক্বতের বৃহত্তম খেদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গাউসিয়া কমিটি এ সময়ের নির্দেশেরই বাস্তবায়ন যা দ্রুত দেশের সর্বত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এটা তাঁর বেলায়তী শক্তিরই বহিঃপ্রকাশ।

১৯৬১ হতে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ হিজরি ১৩৮০ হতে ১৪১৩ পর্যন্ত সুদীর্ঘ তেত্রিশ বছর ব্যাপী তিনি মাযহাব, মিল্লাত, শরীয়ত, তরীক্বত তথা সুন্নীয়তের সার্বিক খিদমত আঞ্জাম দানে যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, সুন্নীয়তের ইতিহাসে তা স্বার্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। এ দেশে শুভাগমন করে তিনি এ দেশবাসীকে ধন্য করেছেন। এ দেশের মুসলিম জনতাকে সুন্নীয়তের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছেন।

দ্বীনি খেদমত : তিনি শুধু পীরে কামেল সাধক পুরুষ ছিলেন তা নয়। বরং জ্ঞান সমুদ্রের একজন সার্থক কান্ডারীও ছিলেন বটে। এদেশের গ্রামগঞ্জে, শহরেবন্দরে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফরকালে বিভিন্ন ইসলামী সেমিনার, সম্মেলন, সমাবেশ, সুন্নী কন্‌ফারেন্সে প্রদত্ত তাঁর গুরুত্বপূর্ণ তাক্বরীর ও ভাষণগুলো তাঁর জ্ঞানের গভীরতার পরিচায়ক। কোরআন হাদীসের আলোকে বিভিন্ন সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়াদি নিয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ তাকরীর করতেন। তাঁর তাক্বরীরের ভাষা ছিল শ্রুতিমধুর। যুক্তিপূর্ণ তথ্যনির্ভর, সহজ সরল, প্রাঞ্জল, হৃদয়গ্রাহী ও মর্মস্পর্শী। তাঁর নূরানী তাক্বরীর শ্রবণে সমবেত শ্রোতাদের মধ্যে খোদাভীতি ও নবীপ্রেমের আলোকধারা উদ্ভাসিত হয়ে উঠতো।

প্রকাশনা : স্মৃতির অন্তরালে অনেক কিছু থেকে যায়। অজানা ইতিহাস, ঘটনাপ্রবাহ যা লেখনীর মাধ্যমে স্থায়ী করা যায়। মুসলিম মিল্লাতের মানসপটে একটি আদর্শকে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে প্রকাশনা অন্যতম উৎকৃষ্ট বাহন। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। মা’আরেফে লুদুন্নির প্রস্রবন, উলূমে ইলাহিয়্যার ধারক, হযরত খাজা আবদুর রহমান চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত বিশাল ত্রিশ পারা দরূদ শরীফ সম্বলিত অদ্বিতীয় গ্রন্থ “মাজমুয়ায়ে ছালাওয়াতে রসূল” তাঁরই তত্ত্বাবধানে তৃতীয় সংস্করণ মুদ্রিত হয়। এছাড়া আওলাদে ক্বাদেরিয়া রহমানিয়া নামক এক বরকতময় ওয়াজিফা তাঁরই অনুমতিক্রমে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া ইসলামী সাহিত্য জগতে এক অনন্য অবদান আহ্‌লে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বীদা ভিত্তিক মাসিক মুখপত্র তরজুমান তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭৮ সালে আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পত্রিকা সত্য প্রচার ও ভ্রান্তিরোধে এক সাহসী ভূমিকা পালন করে আসছে, আদর্শ প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে মাসিক তরজুমানের ভূমিকা ভাস্বর হয়ে থাকবে। খোদাদ্রোহী বাতিল অপশক্তির বিরুদ্ধে এ পত্রিকা এক প্রচন্ড বিদ্রোহ।

ক্বাদেরিয়া ত্বরীক্বার সফল প্রচারক : ১৩৮৮ খ্রীষ্টাব্দের দিকে হযরত আবদুল করীম ইবনে ইব্রাহীম আলজিলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উপমহাদেশে ক্বাদেরিয়া তরীক্বার প্রচার শুরু করেন। বাংলাদেশে ক্বাদেরিয়া তরীক্বার সূচনা হয় ষোড়শ শতাব্দীর দিকে। হযরত শাহ কাসিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি নামক এক আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষের প্রচেষ্টায় এতদঞ্চলে ক্বাদেরিয়া তরীক্বার প্রচার শুরু হয় বলে জানা যায়। তিনি ছিলেন গাউসে পাক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র বংশধর। এভাবে পৃথিবীর দেশে দেশে আউলিয়ায়ে কেরামের অক্লান্ত ত্যাগ ও প্রচেষ্টার বদৌলতে ক্বাদেরিয়া তরীক্বা বিস্তার লাভ করে। বিশ্বব্যাপী সিলসিলায়ে আলিয়া ক্বাদেরিয়া তরীক্বার প্রচার প্রসারে হিজরি ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বৃহত্তর অবদান রাখেন খাজায়ে খাজেগান খলীফায়ে শাহে জিলান খাজা আবদুর রহমান চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ১৩৪২ হিজরিতে ইন্তিকাল করেন। তাঁর ইন্তিকালের পর তাঁরই সুযোগ্য স্থলাভিষিক্ত আওলাদে রসূল হাফেজ ক্বারী আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ্‌ সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি’র ওপর সিলসিলার দায়িত্বভার অর্পিত হয়।

ক্বাদেরিয়া তরীক্বার বিকাশ সাধনে তাঁর অবদান স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। ১৩৮০ হিজরীতে তাঁর ইন্তিকালের পর সিলসিলার দায়িত্বভার অর্পিত হয় তাঁরই সুযোগ্য ছাহেবজাদা হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ (রহ.)’র ক্বাদেরিয়া সিলসিলার সফল প্রচারক হিসেবে তিনি অসামান্য অবদান রাখেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ বিদেশের সর্বত্র গড়ে উঠেছে অসংখ্য দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও অর্ধ শতাধিক খানকাহ্‌ মাযহাব মিল্লাত, শরীয়ত ও তরীক্বত তথা সিলসিলায়ে আলিয়া ক্বাদেরিয়ার প্রচার প্রসারে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেন।

জশ্‌নে জুলূস : প্রিয় নবীর বেলাদত বার্ষিকীর স্মৃতি বিজড়িত অকৃত্রিম ভালবাসার নিদর্শন স্বরূপ জশ্‌নে জুলূসের প্রবর্তন ইসলামী সংস্কৃতির অঙ্গনে এক নবতর সংযোজন। এ দ্বীনি সংস্কার কর্মের প্রথম ও প্রধান উদ্যোক্তাও শতাব্দীর মহান সংস্কারক গাউসে জামান অলিয়ে কামিল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ রহমাতুল্লাহি আলাইহি। হুজুর কেবলা রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র এ সংস্কার কর্ম আজ বিশ্বজনীন রূপ পরিগ্রহ করেছে। আজ শুধু এদেশে নয় বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রে জশ্‌নে জুলুস শানদারভাবে পালিত হচ্ছে। পবিত্র মিলাদুন্নবীর মাসে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের শুভাগমন দিবসে অনুষ্ঠিত এ জুলুসে লাখো মুসলিমের জমায়েতের মাধ্যমে বিশ্ব মুসলিমের ঐক্যসংহতিসম্প্রীতির বন্ধন মজবুত হয়। বিশ্ব মুসলিম মানসে ঈমানী জজবা সৃষ্টি হয়।

১৫ জিলহজ্ব ১৪৪৫হিজরি, ২২ জুন ২০২৪ শনিবার এ মহান আধ্যাত্মিক সাধকের ৩২তম সালানা ওরস মোবারক। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া ময়দানে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন হবে। সালানা ওরস মোবারকে তাঁর রূহানী ফুয়ুজাত আমাদের নসীব হোক। আমিন।

লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসাএ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রি)

খতিব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধসেন্টমার্টিন নিয়ে অপপ্রচার অচিরেই বন্ধ হোক