আল্লামা মুহম্মদ ইকবাল : মহাকবি ও দর্শনিক

| বৃহস্পতিবার , ২১ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

মুহাম্মদ ইকবাল। মহাকবি আল্লামা ইকবাল নামে ব্যাপক পরিচিত। বিভাগপূর্ব ভারতবর্ষের মুসলিম কবি, দার্শনিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষবিদ ও ব্যারিস্টার। তার ফার্সি ও উর্দু কবিতা আধুনিক যুগের ফার্সি ও উর্দু সাহিত্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ১৮৭৭ সালের ৯ নভেম্বর পাঞ্জাবের শিয়ালকোটে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তারা পরবর্তীতে লাহোরে বসবাস শুরু করেন। ইকবালের বাবা শেখ নূর মুহাম্মদ কেবল চিন্তাধারা এবং জীবন যাপনে ছিলেন ইসলামের প্রতি অত্যন্ত নিবেদিত-প্রাণ। সুফি সঙ্গীদের কাছে তার প্রচণ্ড সম্মান ছিল। মা ইমাম বিবিও ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক মহিলা। ইকবাল পাঞ্জাবে শিক্ষা গ্রহণ শেষে কেম্ব্রিজ ও মিউনিখে দর্শন এবং আইন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা নেন। পরবর্তীসময়ে মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯০৮ সালে পি.এইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশে ফিরে পেশা হিসেবে বেছে নেন শিক্ষকতাকে। আল্লামা ইকবাল অমর হযয়ে আছেন তার কয়েকটি কবিতা ও রচনার জন্য। ইকবাল প্রচুর কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তাঁর লেখায় ধর্মীয় সামপ্রদায়িকতা, পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতার সুস্পষ্ট প্রকাশ লক্ষ করা যায়। ইসলাম ধর্মের গোঁড়ামির বিরোধিতা করায় তাঁকে গোঁড়া ধর্মাবলম্বীদের আক্রোশের শিকার হতে হয়েছিল। ইকবাল ছিলেন উদারপন্থী এবং সুফীবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী। তাঁর কাব্যভাবনায় এর প্রভাব রয়েছে। মহাকবি ইকবালের বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: ‘বাং-ই-দারা’, ‘বাল-ই-জিব্রিল’, ‘আশরার-ই-খুদি’, ‘শিকোয়াহ’, ‘জবাব-ই-শিকোয়াহ’ প্রভৃতি। ‘দ্য রিকন্সট্রাকশন অব রিলিজিয়াস থট্‌ ইন ইসলাম’ এবং ‘আরমিথান-ই-হিজাজ’ নামে তাঁর দুটো প্রবন্ধগ্রন্থ রয়েছে। দ্বিতীয় গ্রন্থটি ইকবালের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়। ইকবালের অধিকাংশ রচনাই বাংলায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৩৮ সালের ২১ এপ্রিল মহাকবি ইকবাল মুত্যুবরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধগোয়ালপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির জন্য হাহাকার চলছে