আল্লামা ইকবাল ছিলেন একাধারে কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক

চবিতে সেমিনার

চবি প্রতিনিধি  | বৃহস্পতিবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে আল্লামা ইকবালের জাতীয়তাবাদ চিন্তা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপউপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপউপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এ কে এম মাহফুজুল হকের (মাহফুজ পারভেজ) সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাকিস্তানের ইউনিভার্সিটি অব দ্য পাঞ্জাবের ওরিয়েন্টাল কলেজের ইনস্টিটিউট অব উর্দু ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচারের প্রফেসর ড. বশিরা আমব্রিন।

স্বাগত বক্তব্য দেন, চবি আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। বক্তব্য দেন, লাহোরের ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশনের প্রফেসর ওয়াহিদুর রহমান, চবি ফারসি বিভাগের ভিজিটিং প্রফেসর ড. মেহরান নাজাফি হাজিবার, আরবি বিভাগের প্রফেসর ড. আ ক ম আবদুল কাদের এবং চবি নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফরিদুদ্দিন। সঞ্চালনায় ছিলেন, চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ সোহেলী আফরোজ।

প্রধান অতিথি বলেন, আল্লামা ইকবালের মূল চেতনা ছিল ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক চিন্তা দ্বারা একটি জাতি গঠিত হতে পারে। তিনি বারবার বলেছিলেন, মুসলিম সংস্কৃতি ও ধর্মীয় চিন্তা নিয়ে মুসলমানদের পৃথিবীর বুকে টিকে থাকতে হবে। তাঁর এমন চিন্তার পরই ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব হয়, যা থেকে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতপাকিস্তানের জন্ম হয়। পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হওয়ার পেছনে আল্লামা ইকবালের চিন্তার অবদান রয়েছে। আল্লামা ইকবাল ছিলেন একাধারে কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক। একই সঙ্গে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আল্লামা ইকবালকে নিয়ে একটি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দেন।

বিশেষ অতিথি বলেন, আল্লামা ইকবাল তাঁর সাংস্কৃতিক চিন্তায় ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয় ঘটিয়েছেন। তাঁর পশ্চিমাবিরোধী অবস্থান মূলত পশ্চিমা বস্তুবাদ, আধ্যাত্মিক শূন্যতা ও ঔপনিবেশিকতার সমালোচনার মধ্যে নিহিত ছিল।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক বলেন, আল্লামা ইকবাল জাতীয়তাবাদের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে মুসলিম সমপ্রদায়ের ঐক্যকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশাহানশাহ্‌ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের সভা
পরবর্তী নিবন্ধঅস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ওল্ড প্ল্যাসিডিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী