(উত্তরার দুর্ঘটনায় নিঃশেষ হয়ে যাওয়া স্বপ্নদের স্মরণে)
এমন কী শিখেছিল ওরা–
ভবিষ্যতের রঙে আঁকা ছিল বই,
একটি দিন, একটি ক্লাসরুম,
আর তার পরে ছাই আর ধোঁয়া।
জ্বলন্ত অক্ষরে লেখা হল–
স্বপ্নের নিচে মৃত্যু,
আর পাশেই দাঁড়িয়ে রইল
নিরুপায় কোনো প্রহরীর ছায়া।
প্রতিদিন যে পাখা মেলে ওঠে,
তার গন্তব্য জানে না দেয়াল,
তবু জানলা গলে ঢোকে শব্দ–
এক অনাহূত মৃত্যুপ্রবাহ।
কে আঁকে সেই আগুনের পথ?
কে দেয় উড়তে ছায়ার অনুমতি?
কার খেয়ালে ভেসে আসে মৃত্যু?
কে দেখেও চোখ রাখে না ঠিক?
পড়ার টেবিলে রাখা ছিল
একটা না–পড়া কবিতার খাতা।
শিক্ষিকা নামলেন নিচে,
তার চুলে আগুনের গন্ধ–
কিন্তু ফাইলের স্তূপে তখন
শব্দহীন, সিলমোহরপরা নীরবতা।
সব প্রতিক্রিয়া আসে,
সব আশ্বাসের ভাষা জানা,
কিন্তু জবাব চেয়ে যে শিশু
আজ নিখোঁজ–তাকে কে বলবে “তুই বাঁচবি”?
মাইলস্টোন আজ শুধু পাঠশালা নয়–
যেন সেই মঞ্চ,
যেখানে নাটক শেষ,
আর পর্দা নামার আগেই আলো নিভে গেছে।