পটিয়ায় ‘আশিয়ার কিং’ নামে ২৫ মণ ওজনের একটি ষাড়ের আলোচনা সর্বত্র। উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামের সৌখিন খামারি ও ব্যবসায়ী শেখ আবদুল্লাহ তার শখের গরুর নামটি দেন ইউনিয়নের নাম অনুসারে। পবিত্র কোরবানি উপলক্ষে নিজ খামারে গত তিন বছর ধরে লালন পালন করা ফিজিসিয়ান জাতের কালো রঙের ‘আশিয়ার কিং’ কে প্রতিদিন দেখতে আসছেন দূর–দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ। ফিজিসিয়ান জাতের এ গরুর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকছে শুষ্ক ও কাঁচা খড়; ভূষি, গম ও ভুট্টা ভাঙা; সয়ামিল; ধানের কুড়া; চনার খোসা ও খৈল। প্রতিদিন দেয়া হচ্ছে তিন বেলা খাবার। এছাড়াও গড়ে তিন বেলা শুষ্ক খাবার খাওয়া হচ্ছে ৩০ কেজি এবং পানিসহ ‘আশিয়ার কিং’ গ্রহণ করছে প্রতিদিন গড়ে ৫৬ কেজি খাদ্য। ৫ থেকে ৮ বার গোবর ও মলমূত্র পরিষ্কার করার পাশাপাশি তাকে প্রতিদিন অন্তত ২–৩ বার দেয়া হয় গোসলও। কালো বর্ণের শান্ত প্রকৃতির এ ‘আশিয়ার কিং’ এর উচ্চতা সাড়ে ৫ ফিট ও লম্বা ৮ ফিট ৫ ইঞ্চি এবং ‘লাইভ ওয়েট’ এক হাজার কেজি।
গরুর মালিক শেখ আবদুল্লাহ জানান, আমি বেশ কয়েক বছর ধরে গরু লালন পালন করে আসছি। খামারে ষাঁড়ের পাশাপাশি রয়েছে দুধের গরুও। ফিজিসিয়ান জাতের এ গরুটি আমাদেরই একটি গাভীর বাছুর। যেটি গত তিনবছর ধরে পালন করে আসছি। পটিয়ায় বেশকিছু শিল্পপতি গ্রুপ রয়েছে। তাদের কেউ যদি কোরবানি উপলক্ষে গরুটি কিনে নেয় তবে নিজেকে ধন্য মনে করব। গরুটির দাম কেমন হাকাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দাম ঠিক করব।
জানতে চাইলে পটিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, আশিয়ার কিং নামের ওই গরুটি আমি দেখেছি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ও স্বাভাবিক খাদ্য দিয়ে খামারি আবদুল্লাহ এ গরুটিকে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য বড় করেছেন। আমরাও তাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহাযোগিতা করেছি। আশা করি দেশীয় খামারের গরু হিসেবে তিনি এটির ভালো দাম পাবেন।












