আলোচনায় যায়নি বিএনপি, পরে চাইলেও রাজি ইসি

| রবিবার , ৫ নভেম্বর, ২০২৩ at ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে থাকা বিএনপি। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় ১৩টি দলের সঙ্গে ইসির আলোচনা শুরু হয়। সেখানে বিএনপিসহ নয়টি দল অংশ নেয়নি। তবে এই দলগুলো চাইলে পরেও ইসি তাদের কথা শুনবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

ভোটে অংশ নেওয়ার প্রশ্নে সব দলের মতো বিএনপি ও অন্য দলগুলোকেও প্রত্যাশা করেন বলে মন্তব্য করেন সিইসি। তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান থেকে সবসময় বলে এসেছি, আমরা সব রাজনৈতিক দল, বিএনপিও; আমাদের আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে উনাদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করি। কেউ পছন্দ করুক বা না করুক। খবর বিডিনিউজের।

বৈঠকের শুরুতে তিনি বলেন, আমরা কম সময় নিয়ে দাওয়াত দিয়েছি। তারপরও দ্রুততার কারণে কোনো দল অংশগ্রহণ না করে থাকে, তারা যদি ইচ্ছা পোষণ করে, কমিশনে আলাপ করে তাদের কথা শোনার চেষ্টা করব।

সবার সঙ্গেই মতবিনিময় করতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের বড় জোর দু মাস সময় আছে। আমাদের কিছু কাজ দ্রুততার সাথে করতে হবে। নির্বাচন বিষয়ে যে প্রস্তুতিগুলো গ্রহণ করেছি, তা আপনাদের অবহিত করা; কারণ রাজনৈতিক দলগুলোই হচ্ছে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় এবং নির্বাচনের প্রধান অংশীদার।

নির্বাচন যথাসময়েই হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের নির্বাচন করব। তাদের প্রতি আমাদের উদাত্ত আহ্বান থাকবে, আপনারা আসুন। কিভাবে আসবে, সে কোর্সটা আমরা চার্ট করে দিতে পারব না। আপনারা আসুন, আমাদের শুভ কামনা থাকবে। অংশগ্রহণ করে সফল হোক, সে শুভ কামনা থাকবে।

দলগুলো ভোটে অংশ নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা নেবে বলে আশা করেন সিইসি। তার ভাষ্যে, আমরা মতবিনিময় করেছি, যাতে আগামী নির্বাচনটা সবার অংশগ্রহণে সবার সক্রিয় দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। আমি এককভাবে সব করে দেব, তা নয়, তাদেরকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আশা করি সবাই উজ্জীবিত হবে, উদ্বুদ্ধ হবে, সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী হবেন।

সকালে আওয়ামী লীগসহ ১৩টি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা, যদিও বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয় ২২টি দলকে। বিকালেও নয়টি দল ইসির সঙ্গে ওই আলোচনায় অংশ নেয়নি। এগুলো হলো বিএনপি, জেএসডি, বাসদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ জাসদ।

বিকালে আলোচনায় যোগ দিয়েছে সাম্যবাদী দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বিএনএম, ইসলামিক ফ্রন্ট, তরিকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি, জাতীয় পার্টি, বিকল্প ধারা, বাংলাদেশ ন্যাপ, জেপি, সংস্কৃতিক মুক্তিজোট, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি।

বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফা সংলাপে বিএনপিসহ কয়েকটি দল অংশ নেয়নি। সে কারণে বিএনপি ও সমমনা দল এবং সিপিবি, বাসদসহ সংলাপ বর্জন করা নয় দলকে গত মার্চে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তাতেও সাড়া দেয়নি দলগুলো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে, সংবিধানে কোথাও লেখা নেই
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম এসেছে দ্বাদশ সংসদের নির্বাচনী সামগ্রী