আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমদুল্লাহ বলেছেন, মসজিদের মিম্বর, মাহফিল কিংবা সেমিনার থেকে আলেম সমাজ নিয়মিত ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। যৌতুক প্রথা বন্ধ, সঠিকভাবে মিরাস বণ্টন, মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত কথা বলে আসছেন। দেশের যেকোন দুর্দিন ও দুর্যোগে সবার আগে মাঠে নামেন আলেম সমাজ। কিছু মিডিয়ার অপপ্রচার সত্ত্বেও আলেম সমাজের প্রতি গণমানুষের ভালোবাসা কমছে না। আলেম সমাজ দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সেবার কাজ করে যাচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কল্যাণমুখী সমাজ বিনির্মাণে নিবেদিত আল–আমিন সংস্থার উদ্যোগে হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিতব্য ঐতিহাসিক ৩ দিনব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের দ্বিতীয় দিবসে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মুহাম্মাদ আহসান উল্লাহ ও মাওলানা রিজওয়ান আরমানের যৌথ সঞ্চালনায় দুপুর ২টা থেকে মাহফিলের দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এতে আল্লামা শেখ আহমদ, আল্লামা শোয়াইব জমিরী, মাওলানা ওসমান সাঈদী ও মুফতী নাসির উদ্দীন সভাপতিত্বে মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন।
মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, ভারতের মোদি সরকার গত নির্বাচনে একজন মুসলমানকেও নমিনেশন দেয় নাই। প্রায় সময় দেখা যায় ভারতে মুসলমানদের পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। সেই ভারত আমাদের উপদেশ দেয় কিভাবে আমরা সংখ্যা লঘুদের রক্ষা করবো। তাদের সে উপদেশ দেয়ার অধিকার নাই। গত ১৬ বছর ধরে সংখ্যালঘু সমপ্রদায় যারা আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত তারা কি পরিমাণ জুলুম নির্যাতন মুসলমানদের উপর করেছে তা আপনারা জানেন। কাজেই আমরা যদি ইসলামকে সমুন্নত রাখতে চাই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে চাই তাহলে বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মাহফিলে দেশ ও জাতির কল্যাণে মুনাজাত করেন প্রধান অতিথি আমীরে হেফাজত আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। মাহফিলে আরও তাফসীর পেশ করেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী, মুফতী হাবীবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন, মুফতী আব্দুল আজিজ, মাওলানা ইসমাইল বুখারী কাশিয়ানী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মারুফ প্রমুখ।