আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল(১৮৪৭–১৯২২)। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক। তিনি স্কটল্যান্ডের এডিনবাগে ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। টেলিফোন আবিষ্কারের জন্য তিনি বেশি পরিচিত। ১৮৭৬ সালে আবিষ্কার করেন টেলিফোন। ওই বছরই তাঁকে টেলিফোনের প্রথম মার্কিন পেটেন্ট দেয়া হয়। অল্প বয়স থেকেই আলেকজান্ডার প্রাকৃতিক বিষয় সম্পর্কে কৌতূহলী ছিলেন। গ্রাহাম বেল আগে থেকেই শ্রবণ ও কথন সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর মা ও স্ত্রী উভয়েই ছিলেন বোবা। এ কারণেই বোবাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তিনি অনেক গবেষণা করেন। টেলিফোনের অন্যতম আবিষ্কারক হিসেবে তিনি সবচেয়ে পরিচিত। তাকে বোবাদের পিতা তথা দ্য ফাদার অফ দ্য ডিফ নামে ডাকা হতো। তার বাবা, দাদা এবং ভাই সবাই একক অভিনয় ও বক্তৃতার কাজে জড়িত ছিলেন এবং তার মা ও স্ত্রী উভয়েই ছিলেন বোবা। এ কারণেই বোবাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তিনি অনেক গবেষণা করেছেন। টেলিফোন উদ্ভাবনের আগে থেকেই তিনি শ্রবণ ও কথন সংশ্লিষ্ট গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। বোবাদের শ্রবণে সহায়ক একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন। ভাইদের মত আলেকজান্ডারও ছোটবেলায় পরিবারে বাবার কাছ থেকেই শিক্ষা লাভ করে। যদিও খুব অল্প বয়সেই তাকে এডিনবার্গের রয়েল হাই স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল, সেখানে তিনি চার ক্লাস পর্যন্তই পড়াশোনা করেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সেই স্কুল ছেড়ে দেন। তার বাবার উচ্চাশা সত্ত্বেও স্কুলের পাঠ্যবিষয়গুলোর প্রতি আলেকজান্ডারের কোন আগ্রহই ছিল না বরং বিজ্ঞান এবং বিশেষ করে জীববিজ্ঞানে তার প্রবল আগ্রহ ছিল। স্কুল ত্যাগ করার পর আলেকজান্ডার তার দাদার সাথে বসবাস করার জন্য লন্ডনে গমন করেন। লন্ডনে তার দাদার সাথে থাকার সময় পড়াশুনার প্রতি তার গভীর ভালবাসা জন্মায়। দাদা আলেকজান্ডার বেল তার নাতিকে তারই শিক্ষানবিশ শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন এবং তাকে প্রশিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই আলেকজান্ডার শিক্ষানবিশ শিক্ষক হিসেবে স্কটল্যান্ডের ওয়েস্টন হাউস একাডেমিতে যোগদান করেন। যদিও তখন তিনি ল্যাটিন এবং গ্রিক ভাষার ছাত্র ছিলেন। এর পরের বছর তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৮৬৮ সালে স্বপরিবারে কানাডা চলে যাওয়ার আগে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার ম্যাট্রিকুলেশন সম্পন্ন করেছিলেন। ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ২রা আগস্ট আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল কানাডায় মৃত্যুবরণ করেন।