ভারত বাংলাদেশকে বিনামূল্যে আলু–পেঁয়াজ দিচ্ছে কিনা এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। তারা তার কথায় বিদ্যুৎ দেবে না বলে হুমকি দিচ্ছে। আলু, পেঁয়াজ দেবে না বলছে। আপনারা (ভারত) মাগনা দিচ্ছেন নাকি।
গতকাল সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর আয়োজনে এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বিএনপি নেতা রিজভী ছাত্র–জনতার গণআন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের রূপসা গ্রামের রফিকুল ইসলাম, আফিকুল ইসলাম সাদ ও ছায়াদ মাহমুদ খান এবং আহত সাকিব খান ও হাসনা হেনার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সারাবিশ্ব বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিলেও ভারত অভিনন্দন না জানিয়ে হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় দেশটির সরকারের সমালোচনা করেছেন রিজভী। তিনি বলেন, আমার দেশে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি হাজার বছরের। দেশে কখনও সামপ্রদায়িক দাঙ্গা দেখিনি। আপনারা গুজরাটে দুই দিনে দুই হাজার মুসলমান হত্যা করলেন। আপনারা ৪০০ বছরের সম্রাট বাবরের মসজিদ ভেঙে মন্দির বানালেন। এত কিছু করেও আপনাদের দোষ নেই। সব দোষ আমাদের। খবর বিডিনিউজের।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়া ঘাতক শেখ হাসিনার নিকট আত্মসমর্পণ করেননি। শেখ হাসিনা তারেক রহমানকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন, আর এখন তিনি কনফারেন্সের মাধ্যমে লন্ডনে বক্তব্য দেন। বাপের বেটি হয়ে থাকলে দেশে এসে বিবৃতি দেন। আর ভারত হাসিনার জন্য মায়া কান্না করছে। ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। মিডিয়ায় গুজব ছড়াচ্ছে।
শেখ হাসিনার সরকারকে ভারত নির্ভর সরকার উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনা নিজের দেশের চেয়ে ভারতের চিন্তাই বেশি করতেন। ব্যবসা বাণিজ্যেও ভারত নির্ভর ছিল। যে কারণে বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে এমন চুক্তি করেছিল শেখ হাসিনার সরকার। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। আর হাসিনার পক্ষ নিয়ে সে দেশের মিডিয়াগুলো ডাহা মিথ্যা প্রচার করে চলছে। বাংলাদেশের বদনাম হয় এমন কাজগুলো ইচ্ছে করেই করছে সেই দেশের মিডিয়া। রিজভী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদেরকে সম্মান দিতে হবে। তাদের নামে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হবে। আহত ও নিহত পরিবারের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিতে বিএনপি কাজ করবে।
আমরা বিএনপি পরিবারের সভাপতি আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি আফরোজা খান রিতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রফিকুল ইসলাম এবং সাদের বাবা বক্তব্য দেন। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন রুহুল কবির রিজভী।












