আলী ইমাম (১৯৫০–২০২২) শিশুসাহিত্যিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব। বাচ্চাদের জন্য লিখেছেন গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ফিচার, ভ্রমণকাহিনী, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী। আলী ইমামের জন্ম ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ শে ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তার শৈশব–কৈশোর কেটেছে পুরান ঢাকায়। আলী ইমাম বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহা–ব্যবস্থাপক ছিলেন এবং ২০০৬ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি প্রায় ৫০ বছর ধরে নিরন্তর শিশুসাহিত্য করে গেছেন। শিশুমানস, শিশুজগৎ, শিশু কল্পনাকে ধারণ করে বহু বিচিত্র রচনা সম্ভারে সমৃদ্ধ করেছে তিনি বাংলা শিশুসাহিত্যকে। শিশু মনস্তত্ত্ব, রোমাঞ্চ এবং মানবতা ধরনের বিষয় তার কাহিনিতে উঠে এসেছে। তার লেখায় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, রোমাঞ্চকর উপন্যাস ও ইতিহাস সংশ্লিষ্ট রচনা লক্ষণীয়। গবেষণা, বড়দের কবিতা, শিশুসাহিত্য, কিশোর উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, জীবনী মিলিয়ে তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ছয় শতাধিক। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে– শিশুসাহিত্য: দ্বীপের নাম মধুবুনিয়া (গল্প, ১৯৭৫), অপারেশন কাঁকনপুর (উপন্যাস, ১৯৭৮), পাখিদের নিয়ে (১৯৭৯), সোনার তস্তুরী (গল্প, ১৯৮০), নীল নেশা (১৯৮২), প্রবাল দ্বীপের আতঙ্ক (উপন্যাস, ১৯৮৩), জাফলঙ্গের বিভীষিকা (উপন্যাস, ১৯৯১), পাখি দেখা (গল্প, ১৯৮৪), পাখির জগৎ (১৯৮৫), সবুজ বাড়ির কালো তিতির (গল্প, ১৯৮৫), আলোয় ভুবন ভরা (১৯৮৬), পাখির আর পাখি (১৯৮৭), আলোর পাখি (১৯৮৯), পাখির কাছে (গল্প), ঝণ্টি পাহাড়ের চন্দন বাক্স (১৯৯০), হিমছড়ির ভয়ঙ্কর (১৯৯২), কতো যে রহস্য (রহস্য গল্প, ১৯৯৪), গল্পগুলো হাসির (১৯৯৬),সনুমামার অভিযান (১৯৯৭), আরো রহস্য (১৯৯৭), দানব পাখির রহস্য (১৯৯৯)। কিশোর উপন্যাস: রক্তপিশাচ তিতিরোয়া (১৯৮৬), ভয়াল ভয়ঙ্কর (১৯৮৭), ভয়ঙ্করের হাতছানি (১৯৯০), নীল চোখের ছেলে (১৯৯২), জীবনের জন্য (১৯৯৪), মহাস্থানগড় রহস্য (১৯৯৪), রহস্যময় (১৯৯৬), হিমকুঁড়ির জঙ্গলে (১৯৯৭), ঘাসের ডগায় হলুদ ফড়িঙ (১৯৯৯)। সায়েন্স ফিকশন: গল্পগুলো ইতিহাসের (১৯৯৯), মহাবিশ্বের মহাবিস্ময় (২০০০)। এছাড়াও রয়েছে তাঁর কিশোর উপন্যাস সমগ্র (২০০২), গল্পসমগ্র (২০০২), কিশোর উপন্যাস সমগ্র (২০০২) গল্পসমগ্র (২০০২), নির্বাচিত সাইন্স ফিকশন (২০০২)। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২১ শে নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।