কক্সবাজারের চকরিয়া-লামা-আলীকদম সড়কের চকরিয়া অংশে গাছ ফেলে পর্যটকের লাশ আনতে যাওয়া স্বজন বোঝাই অ্যাম্বুলেন্সে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে থাকা যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, কয়েকটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় সশস্ত্র ডাকাতেরা। তবে পুলিশ দাবি করেছে এটি নিছক ছিনতাইয়ের ঘটনা ছিল।
আজ শনিবার ভোররাতে সড়কের সীমান্ত ব্রিজের চকরিয়া অংশে আলোচিত করল্যার শিয়া পয়েন্টে এই ডাকাতির (পুলিশের ভাষ্য ছিনতাই) ঘটনা ঘটে।
এদিকে আলীকদম থেকে চকরিয়া থেকে আলীকদমগামী পর্যটকের লাশ আনতে যাওয়া স্বজন বোঝাই অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির পর ডাকাতেরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। তবে ডাকাতদলে থাকা আরাফাত নামের এক ডাকাত ঘটনার সময় লুট করে নেওয়া একটি মোবাইল সরিয়ে জঙ্গলের ভেতর লুকিয়ে রাখে। সেই মোবাইল খুঁজতে সকালে ফের ঘটনাস্থলে যায় আরাফাত। এ সময় স্থানীয় জনগণের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে পিটুনি দিতে থাকে তারা।
এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনার সাথে আরাফাত নিজেসহ বেশ কয়েকজন অংশ নেয় বলে স্বীকার করে এবং তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে দেয়। এ সময় দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সেই মোবাইলসহ ধৃত আরাফাতকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে জনতা। সে চকরিয়া পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদীয়া পাড়ার আবুল কালামের ছেলে।
আরাফাতের দেওয়া তথ্যানুযায়ী অ্যাম্বুলেন্স ডাকাতিতে আরও যারা অংশ নেয় তারা হলেন-ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছড়ারকূলের ছাদেক, উচিতার বিলের ফারুক, আরিফ, সাগর ছাড়াও বেশ কয়েকজন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- ‘চকরিয়া-লামা-আলীকদম সড়কের চকরিয়া অংশে অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি নয়, ছিনতাই হয়েছিল। সেই ঘটনায় স্থানীয় জনতার সহায়তায় আটককৃত একজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে দুটি মোবাইলও। এই ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণসহ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।’