আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় ৪ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর মধ্যে আসামি রিপন দাসের ৫ দিন, রাজীব ভট্টাচার্য্য, আমান দাশ ও বিশাল দাশের ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এছাড়া একই ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ৮ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। তারা হলেন ইমন চক্রবর্তী, সুজন চন্দ্র দাস, সৌরভ দাস, মোহাম্মদ রফিক, সুমন দাস, রুপন দাস, আহমেদ হোসেন ও সাকিবুল আলম।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেন পুলিশের পক্ষ থেকে ৭ দিন করে রিমান্ড চেয়ে করা পৃথক দুটি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আসামিদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত ২৫ আগস্ট ঢাকা থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষের আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে সেদিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ নিয়ে সংঘাতে আদালতের প্রবেশ গেটের অদূরে খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতটি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালী থানায় ৬টি ও আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়। পুলিশ জানায়, কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে ৭৯ জনের নামে তিনটি, আলিফের বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের নামে একটি (হত্যা মামলা) ও তার ভাই বাদী হয়ে ১১৬ জনের নামে একটি ও মোহাম্মদ উল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী ২৯ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। সর্বশেষ মো. এনামুল হক নামে একজন বাদী হয়ে ১৬৪ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত সেটি কোতোয়ালী থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।