নগরীর কোতোয়ালীর আলকরণ এলাকায় ভেজাল ও নিষিদ্ধ প্রসাধনী সামগ্রীর একটি গোডাউনের সন্ধান মিলেছে। পণ্যগুলোতে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে ভুয়া লোগা ব্যবহার করা হয়েছে। অধিকাংশ পণ্যের গায়ে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ ও মূল্য ছিল না। একটি আবাসিক ভবনের তৃতীয় তলার পুরোটাতে আনজুমান আরা নামের এক নারী দীর্ঘদিন ধরে এ গোডাউন পরিচালনা করে আসছিলেন। তিনি নগরীর সদরঘাট এলাকার বাসিন্দা। ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ইউনিক মার্ট নাম দিয়ে তিনি এসব পণ্য বিক্রি করে আসছিলেন। এর মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছিলেন ভোক্তারা। গতকাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোডাউনটিতে অভিযান পরিচালনা করলে উঠে আসে এসব তথ্য। অভিযানের সময় গোডাউনের মালিক আনজুমান আরাকে পাওয়া না গেলেও ম্যানেজার মাইনুদ্দিন আকবর উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ভেজাল ও নিষিদ্ধ পাঁচ লাখ টাকার প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করা হয়। জেলা প্রশাসনের পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। অভিযানে জব্দ করা ভেজাল ও নিষিদ্ধ প্রসাধনী সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে– বিভিন্ন নামীদামী ব্রান্ডের (গার্নিয়ার, পন্ডস, ডাবর, ইমামি, হুদা বিউটি) বিপুল পরিমাণ ফেস ওয়াস, স্কীন ক্রিম, শ্যাম্পু, হেয়ার ওয়েল, ফেস প্যাক, মেহেদী, সানসক্রিম, ম্যাসাজ ক্রিম, আইলাইনার, ফেস পাউডার ও স্কার্ভি রোগের জন্য ভিটামিন সি’র ইনজেকশন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে গোডাউনটিতে অভিযান চালিয়েছি। এসময় মূল মালিক আনজুমান আরা না থাকলেও হাতেনাতে আটক করি প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মঈনুদ্দিন আকবরকে। একপর্যায়ে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সেখান থেকে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল জব্দ করা হয়। এর মধ্যে হাইড্রোকুইনিন ও মার্কারির অধিক উপস্থিতি রয়েছে বিক্রয় নিষিদ্ধ এমন চার হাজারের বেশি ক্রিমও। নিম স্কিন ম্যাসাজ ক্রিম এবং কাবেরী নামের দুটি ফেস ক্রিমে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়েই ভুয়া লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। অধিকাংশ পণ্যের গায়ে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ ও মূল্য ছিল না। জেলা প্রশাসনের এ ধরণের ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।