আকাশ কাঁপে, মাটি কাঁপে,বুক ফাটা মা’র কান্না, ‘মাগো মা, আর যে পারি না,ছাড় না বাপু ! ছাড় না’! গর্ভে ছিলি তোরাও তো মায়ের, দশ মাস দশ দিন, রক্ত মাংসের মানুষ তোরা? বিবেক হয়েছে লীন? আর্তি মা’র শোনে না ওরা, কানে যেনো তুলো, হামলে পড়ে মায়ের ওপর, দৈত্য দানবগুলো। বেহুঁশ হয়ে লুটায় মাঠে, রক্তে ভেজা ঘাসে, সময়টা যে বিরূপ এখন, ধর্ষক মাতে ত্রাসে। গড়ায় সময়, যায় কেটে যায়, রাতের নিকষ কালো, ছিন্ন ভিন্ন শরীর মায়ের, মাখে ভোরের আলো।
মিষ্টি আলোয় দৃষ্টি মেলে, তাকায় ইতিউতি, আকাশ জুড়ে ঝিকিমিকি, পান্না হীরের দ্যুতি। ব্যথার চোটে কাতর মা,ধরে আসে যে গলা, মায়ের ছিল অনেক কথা, হয় না যে তা বলা। স্বাধীনতার সুখ যেন মায়ের, লুটায় ধূলায় আজ, স্বাধীন দেশে পরে যে মা, ধর্ষিতা নারীর সাজ।