আর কত প্রাণ গেলে সড়কে আমরা সচেতন হবো

এস এম কামরুল হাসান | সোমবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ

সড়ক দুর্ঘটনা এখন একটি মহামারী আকার ধারণ করেছে, আমার মনে হয় আইন নয়, আমাদের সচেতনতা এবং দক্ষতাই পারে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে। বিআরটিএ এবং বাংলাদেশ পুলিশ সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে, কিন্তু চালকরা যত বেশি সচেতন হবেন আমার মনে হয় সড়ক দুর্ঘটনা ততো বেশি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

একটা কথা আছে যত গতি তত ক্ষতি। চালকের চোখে ঘুম নিয়ে কিংবা শরীরের ক্লান্তি নিয়ে গাড়ি চালাবেন না, একটানা সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাতে গেলেই সমস্যা হতেই পারে, মানুষ তো আমরা! আমাদের শরীরের একটু বিশ্রাম লাগে। যাদের জন্য এতো পরিশ্রম করছেন, আপনি না থাকলে তাদের কী হবে?

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন অটোরিকশা উল্টা যাচ্ছে, সিএনজি চলছে, আর বেপরোয়া গতির মোটর সাইকেল কী করে সড়কে তা যারা হাইওয়েতে গাড়ি চালান তারা ভালো বলতে পারবেন, পুলিশ ব্যবস্থা নিতে গেলেই তখন বলে পুলিশ খুব অমানবিক হয়ে গেছে, আসলে মানবতা আর আইন দুইটা সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। পুলিশ একা কিছুই করতে পারবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি আপনি আমরা সবাই একসাথে আওয়াজ না তুলবো।

সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় কোন দোকানপাট বসতে দিব না, অটোরিকশা, সিএনজি কিংবা যেসব গাড়িগুলো ফিটনেস বিহীন সেইসব গাড়িগুলো বন্ধ করার জন্য সকলে মিলে পুলিশের সাথে কাজ করলে আমার মনে হয় সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে যাবে। অনেক কথাই বলা যাবে, হয়তো একটা উপন্যাস লেখা যাবে, হয়তো কয়েক হাজার পাতা হবে সেই উপন্যাসের, তবুও বলবো জনসচেতনতা চালকদের দক্ষতা এবং সরকারি সকল সংস্থা একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নিলে, আমার মনে হয় সড়কের আইন প্রয়োগ করা খুব সহজ হবে। আইন মানতে বাধ্য করা নয়, আইনকে মেনে চলাই একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আপনার আমার সকলের কর্তব্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজাদীর ভালোবাসা
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষকদের অবসর হোক সুখময়