আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু খুনের মামলায় আরো একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার নাম সাগর দত্ত। নগরীর চট্টেশ্বরী রোডে তিনি একটি দোকান করতেন। গতকাল চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন তার সাক্ষ্য রেকর্ড করেন। একই আদালতে মামলার অন্যতম আসামি মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের জামিন চেয়ে আবেদন করে তার আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধীতায় বিচারক তা নাকচ করে দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কেশব নাথ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাগর দত্তের সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে মিতু খুনে এ পর্যন্ত ৩৩ জনের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বুধবারও একজন সাক্ষ্য দিবেন। তিনি বলেন, সাগর দত্ত চট্টেশ্বরী রোডে একটি দোকান করতেন। মিতু খুনের ঘটনায় ডিবির সংগ্রহ করা ফুটেজ সিডি করেছেন তিনি। একটি ১০ মিনিটের এবং অপর একটি ২০ মিনিটের সিডি তিনি ডিবিকে হস্তান্তর করেন। সাগর দত্ত মূলত আদালতের কাছে এসব তথ্য দিয়েছেন। বাবুলের জামিন আবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, তার পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করলে আমরা তার বিরোধীতা করি। একপর্যায়ে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র এক কর্মীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী মিতুকে খুন করিয়েছেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার নিজেই, এমনটা উল্লেখ করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ২০৮৪ পৃষ্ঠার ডকেট ও ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক। মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল ৬ বছর আগে যে মামলা করেছিলেন তাতেই তাকে প্রধান আসামি করে এই চার্জশিট দেয়া হয়।
বাবুল ছাড়া চার্জশিটভুক্ত বাকি ৬ জন হলেন, মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম মুসা ও মো. খায়রুল ইসলাম কালু।