দেশে পুলিশ কর্মকর্তা খুনের আসামি হয়ে পালিয়ে আমিরাতে আরাভ খান নামে থাকা রবিউল ইসলাম দুবাই পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে বলে সে দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। আরাভ আমিরাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন–এমন খবর নাকচ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তবে তিনি একইসঙ্গে বলেছেন, আরাভের বিষয়টি আমিরাতকে জানানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
পাঁচ বছর আগে ঢাকায় পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় আসামি রবিউল যে আরাভ খান নামে দুবাইয়ে, তা সমপ্রতি প্রকাশ পায় সেখানে আরাভ জুয়েলার্স উদ্বোধনকালে। সেই অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ বিনোদন জগতের তারকারা ছুটে গেলে পুলিশ নিশ্চিত হয়, এই আরাভই এসবির পরিদর্শক মামুন হত্যার আসামি রবিউল।
আরও জানা যায়, মামলার পর রবিউল ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে আরাভ খান নামে ভারতীয় পাসপোর্ট করিয়ে দুবাইয়ে পাড়ি জমান। এসব খবর প্রকাশের পর আরাভকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পুলিশ। সেই নোটিস জারির পরদিন গতকাল দুবাইয়ে আরাভ গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে খবর আসে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে।
তার পরিপ্রেক্ষিতে জানতে চাইলে গতকাল সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, না, অ্যারেস্ট হয়নি।
একই সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর বলেন, আমরাও শুনেছি এ ধরনের কথাবার্তা। কিন্তু কোনো সোর্স থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। একটি বিষয় জানা গেছে, সে দুবাই পুলিশের সার্ভিলেন্সে আছে। আরাভ যেহেতু ভারতের পাসপোর্টে দুবাই পৌঁছেন, সে কারণে তাকে গ্রেপ্তার করলে আমিরাত পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে জানাবে বলে জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
রবিউল নামে মামলার আসামি হলেও তার সোহাগ মোল্লা, হৃদয়, আপন নামেও পরিচিত এই যুবক। দুবাইয়ে এখন আরাভ খান নামে গহনার দোকানের মালিক তিনি।
এদিকে এখনও গ্রেপ্তার না হলেও আরাভ গ্রেপ্তার হবেন বলে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার।