আরসা সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতো তারা, র‌্যাবের হাতে ধরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৩০ মে, ২০২৪ at ২:৪৭ অপরাহ্ণ

বতর্মান সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়ংকর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নাম আরসা। ক্যাম্পে অরাজকতা সৃষ্টির পেছনে তাদের নাম সবার আগে উঠে আসে। কক্সবাজারের বিভিন্ন ব্যবসারীদের কাছ থেকে তারা অস্ত্র সংগ্রহ করে ক্যাম্পে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে। এবার আরসা সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করা ৩ অস্ত্র ব্যবসায়ী র‌্যাবের জালে ধরা পড়েছে।

২৮ মে (মঙ্গলবার) রামুর রশিদনগর এলাকার লম্বাঘোনা এলাকায় চেকপোষ্ট স্থাপন করে কৌশলে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব—১৫ এর মিডিয়া কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।

র‌্যাব জানায়, তারা দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ মহেশখালী হতে সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিরাজমান বিভিন্ন দুষ্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা সদস্যদের নিকট বিক্রয় করে থাকে। এছাড়াও জেলায় বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চাহিদামতো অস্ত্র সরবরাহ দিতো।

বুধবার (২৯ মে) চক্রটি রামু উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য মহেশখালী থেকে রামুর উদ্দেশ্যে আসছিল। খবর পেয়ে রামু স্বপ্নতরী পার্কের সামনে চেকপোষ্ট স্থাপন করে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মহেশখালী এবং চকরিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসময় তাদের তল্লাশী করে ২টি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটারগান ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

আটকরা হলেন— মহেশখালী কালারমারছড়ার ফকিরজুম এলাকার মৃত জাফর আহমদের ছেলে তারেক মিয়া (২৮), চকরিয়া ডুলাহাজারর ডুমখালীর ফরিদুল আলমের ছেলে মো. নেজাম উদ্দিন (৩২) ও কালারমারছড়ার নুনাছড়ি এলাকার মৃত আক্কাস আলী ফকিরের ছেলে আব্দুল গফুর ওরফে গুরা মনু (৩২)।

উদ্ধার আলামতসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে রামু থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম উপকূলের ৫০ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ
পরবর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে পিকআপ চালকের মৃত্যু