জঙ্গি ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও গান কমান্ডার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছাসহ আরসার দুই সদস্যসহ মোট ৪ জনকে আটক করেছে র্যাপিড একশ্যান ব্যাটালিয়নের (র্যাব) এর সদস্যরা।
বুধবার দুপুর ১টায় (২৭ সেপ্টেম্বর) র্যাব-১৫ এর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান খন্দকার আল মঈদন।
তিনি জানান, গোপন খবরে উখিয়া উপজেলার তেলখোলা-বরইতলী এলাকার গহীন পাহাড়ের রাস্তার মুখোমুখি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৬ কেজি ৫৩ গ্রাম বোমা সদৃশ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ মোঃ শফিক (২৮) ও মোঃ সিরাজ (৩০) নামে দুজন ব্যাক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
জানা যায়, এলাকার গহীন পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর আরসার অন্যতম কমান্ডার ও আরসার জিম্মাদার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছা এবং ক্যাম্প-৪ এর আরসার অন্যতম কমান্ডার শামছুল আলম ওরফে মাস্টার শামসু (২৯) কে আটক করা হয়।
এ সময় সেখান থেকে ৩৬ কেজি ৭৮০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্যসহ মোট ৪৩ কেজি ৩১০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য, ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ওয়ানশুটারগান, ৪টি পিস্তলের বুলেট, ৩টি ওয়ানশুটার গানের বুলেট এবং ২টি বাটন মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আটক হওয়া মোঃ শফিক ও মোঃ সিরাজ দুজনে বাংলাদেশী।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তারা জানায়, আরসার শীর্ষ নেতারা বালুখালী শরণার্থী ক্যাম্প ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। এ
এ ছাড়া তারা এসব কাজ কাজ করার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে দুর্গম সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান করত।
আটক হওয়া কৃষক শফিক ও টমটম চালক সিরাজ বিস্ফোরক দ্রব্য কৌশলে সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ হতে নিয়ে এসে নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করে রাখতো এবং সুবিধাজনক সময়ে আরসার সন্ত্রাসীদের নিকট সরবরাহ করত।
আটক হওয়া অপর দুজন আরসা কমান্ডার রহিমুল্লাহ ও শামছুল আলম দুজনে মিয়ানমারের নাগরিক। অভিযোগ আছে ক্যাম্পে অবস্থান করে তার দলের সদস্যদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও স্থানীয়দের খুন, অপহরণ ও গুমের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতো। চাঁদা না পেলে অপহরণ করে শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতনসহ মুক্তিপণ আদায় করত।
পরে মুক্তিপণ না মিললে করা হত খুন করে গহীন পাহাড়ে অথনা জঙ্গলে লাশ গুম করতো।