চতুর্থ যুব ওয়ানডেতে সংযুক্ত আরব আমিরাত অনূর্ধ্ব–১৯ দলকে ১৮৩ রানে হারিয়ে সিরিজ জয় করেছে বাংলাদেশ। মিরপুর শের–ই–বাংলা স্টেডিয়ামে বুধবার টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৩১৪ রান। জবাবে আরব আমিরাত ১৩১ রানে গুটিয়ে যায়। একই মাঠে তৃতীয় ম্যাচে সফরকারীদের ১৬৩ রানে গুটিয়ে ৮ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। রাজশাহীতে বৃষ্টির কারণে প্রথম দুই ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার পর চার ম্যাচের সিরিজ ২–০ ব্যবধানে জিতে নিল স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে শতরানের কাছাকাছি সুর বেঁধে দিলেন জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ। সেই পথ ধরে দলকে টেনে নিয়ে যান কালাম সিদ্দিকি এলিন। অল্পের জন্য যদিও সেঞ্চুরি পাননি তিনি। দুই ওপেনার জাওয়াদ ৫টি করে চার ও ছক্কায় ৬০ বলে ৬৪ এবং রিফাত ৭২ বলে ৫৮ রান করেন। তিনে নেমে ৯৪ বলে ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন কালাম। তার ইনিংসটি গড়া ৯ চার ও ২ ছক্কায়। ম্যাচের সেরা অবশ্য তাদের কেউ নন। ২৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে পুরস্কারটি জেতেন লেগ স্পিনার দেবাশিস সরকার। তার স্পিন বিষে নীল হয়ে আরব আমিরাত গুটিয়ে যায় স্রেফ ১৩১ রানে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ করে বিনা উইকেটে ৬০ রান। জাওয়াদ ফিফটি পূর্ণ করেন কেবল ৩৬ বলে। একটু পর তিনি রান আউটে বিদায় নিলে ভাঙে ৯৮ বলে ৯৬ রানের শুরুর জুটি। ৬২ বলে ফিফটি করে বেশিদূর এগোতে পারেননি রিফাতও। এলবিডব্লিউ হয়ে শেষ হয় তার ৫ চার ও ২ ছক্কায় গড়া ইনিংস। দুই ম্যাচে তার রান ৭১ ও ৫৮। কালাম ৫৯ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে পৌঁছে যান সেঞ্চুরির দুয়ারে। শেষ ওভার শুরু করেন তিনি ৯৭ রান নিয়ে, কিন্তু আউট হয়ে যান প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়ে। সাতে নেমে ১৭ বলে ৩০ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। আরব আমিরাতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন পেসার আবদুল্লাহ তারিক। বড় লক্ষ্য তাড়ায় দ্বাদশ ওভারে আরব আমিরাতের রান ছিল ১ উইকেটে ৫৩। এরপর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ৩৫.৩ ওভারেই গুটিয়ে যায় তারা। ওপেনার নুরউল্লাহ আইয়ুবির ৪৬ বলে ৪১ ছাড়া দলের আর কেউ ত্রিশ পর্যন্ত যেতে পারেননি। ষষ্ঠ বোলার হিসেবে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই উইকেটের দেখা পান দেবাশিস। টানা আট ওভারের স্পেলে পরে আরও চার শিকার ধরেন তিনি। আগামীকাল শুক্রবার সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামবে দুই দল।