করোনা সংক্রমণে জেলার হাটহাজারী ও নগরীর হালিশহর এলাকা রয়েছে সবার ওপরে। এর পরে আরও ৬ এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে জেলার তিন উপজেলা ও নগরীর তিন থানা। এই ৬ এলাকা হলো জেলার সীতাকুণ্ড, পটিয়া, রাউজান, নগরীর কোতোয়ালী, পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, হাটহাজারীতে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা ২২ জন, সীতাকুণ্ডে ১৫ জন, পটিয়ায় ১৪ জন ও রাউজানে ১৫ জন। অপরদিকে হালিশহরে শনাক্তের সংখ্যা ৪০ জন, কোতোয়ালীতে ৩৯ জন, পাঁচলাইশে ২৯ জন ও চান্দগাঁওয়ে ২৭ জন।
তথ্য মতে, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখন পর্যন্ত ১২৪ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড, পটিয়া ও রাউজানেই মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। অন্যদিকে নগরীতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৬২ জনের। এর মধ্যে হালিশহর, কোতোয়ালী, পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৭৫ জনের। মোট মৃত্যুর অর্ধেকেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে হাটহাজারী, হালিশহরসহ এ আটটি এলাকাতেই।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত সাতকানিয়া উপজেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৬৭ জনের। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। সীতাকুণ্ডে ৮৩৩ শনাক্তের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বোয়ালখালীতে মৃত্যু হয়েছে ৫৮৫ শনাক্তের মধ্যে ৮ জন, পটিয়ায় ৮৬৯ জনের মধ্যে ১৪ জন, আনোয়ারায় ৪২১ জনের মধ্যে ৬ জন, চন্দনাইশে ৪২১ জনের মধ্যে ৪ জন, ফটিকছড়িতে ৮৬০ জনের মধ্যে ৭ জন, মীরসরাইয়ে ৪৩০ জনের মধ্যে ৪ জন, হাটহাজারীতে ২১৯৩ জনের মধ্যে ২২ জন, লোহাগাড়ায় ২৯৫ জনের মধ্যে ৬ জন, সন্দ্বীপে ১৪৯ জনের মধ্যে ৩ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৫০৮ জনের মধ্যে ১০ জন, বাঁশখালীতে ৪৭৮ জনের মধ্যে ২ জন ও রাউজানে মৃত্যু হয়েছে ১২০৭ জনের মধ্যে ১৫ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, এ পর্যন্ত নগরীর চকবাজারে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। খুলশীতে ১৮ জন, বন্দরে ১০ জন, ডবলমুরিংয়ে ৮ জন, হালিশহরে ৪০ জন, বাকলিয়ায় ৮ জন, বায়েজিদে ১১ জন, আকবরশাহে ১২ জন, পতেঙ্গায় ৭ জন, সুগন্ধায় ২ জন, মোহরায় ৩ জন, লালখানবাজারে ২জন, মাদারবাড়ীতে ৪ জন, কদমতলীতে ১ জন, আগ্রাবাদে ১২ জন, কোতোয়ালীতে ৩৯ জন, চান্দগাঁওয়ে ২৭ জন, পাঁচলাইশে ২৯ জন, পাহাড়তলীতে ১৫ জন, ইপিজেডে ১ জন, সদরঘাটে ৬ জন, এনায়েতবাজারে ২ জন, দামপাড়া ১৯ জন, ইদগাতে ৩ জন, বউবাজারে ১জন, মোগলটুলীতে ১ জন, মুরাদপুরে ১ জন।
রাহাত্তারপুলে মৃত্যু হয়েছে ৩ জন, ফিরোজশাহ কলোনীতে ৪ জন, আশকারদীঘির পাড়ে ২ জন, কর্ণফুলীতে ৫ জন, হাজারী লেইনে ৩ জন, কাজীর দেউরীতে ১জন, নাসিরাবাদ হাউজিংয়ে ৩ জন, কাট্টলীতে ৩ জন, দুই নম্বর গেইট এলাকায় ৩জন, বিশ্বকলোনীতে ১ জন, দেওয়ানবাজারে ২ জন, বড়পুুলে ১ জন, মনসুরাবাদে ২ জন, রেয়াজুদ্দিন বাজারে ২ জন, হিলভিউতে ১ জন, চন্দপুরা এলাকায় ১ জন, দেওয়ানহাটে ২ জন, ব্যাটারি গলিতে ১ জন, কালুরঘাটে ১ জন ও কাতালগঞ্জে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এছাড়া অন্যান্য এলাকায় ১৭ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে।












