আরও ৪ ফুট পানি বাড়লেই কাপ্তাই লেকের গেট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হবে

৫ ইউনিট থেকে এখন ২১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন

কাপ্তাই প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৩ আগস্ট, ২০২৪ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

গত কয়েকদিন ধরে কাপ্তাই এবং রাঙ্গামাটি জেলায় অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা ভারী বর্ষণে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। এই বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও ৪ ফুট পানি বাড়লেই কাপ্তাই লেকের গেট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হবে জানা যায়। গত বুধবার প্রায় ১০১ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) পানি থাকলেও গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত হ্রদে পানি দাঁড়িয়েছে ১০৪ এমএসএলএ। বিগত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে কাপ্তাই লেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। লেকে পানি বৃদ্ধির ফলে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। তবে এর চেয়ে আর বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে না বলে জানা গেছে। গতকাল সন্ধ্যায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের টানা ভারী বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই লেকে পানি বেড়েছে বলে আজাদীকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কাপ্তাই লেকে বর্তমানে ১০৪.২৯ ফুট মীন সী লেভেল (এম এস এল) পানি রয়েছে।

তবে কাপ্তাই লেক থেকে এখনো পানি ছাড়ার কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় নাই বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, কাপ্তাই লেকে পানির লেভেল ১০৮ ফুট এম এস এল হলেই কাপ্তাই লেক থেকে পানি ছাড়ার কথা চিন্তা করা হবে। পানি ছাড়তে হলে লেকে পানির লেভেল ১০৮ ফুট এম এস এল হতে হবে। অর্থাৎ আরো ৪ ফুট পানি বাড়লেই কাপ্তাই লেকের ১৬টি গেট খুলে দেওয়া হতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধির কারণে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের সবগুলো ইউনিট বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সচল রয়েছে।

এই ৫টি ইউনিট থেকে এখন ২১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। যার পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হচ্ছে। তবে অতি বৃষ্টির কারণে লেকে পানি বৃদ্ধির ফলে একটি মহল কাপ্তাই লেক থেকে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদিন বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালায় বলেও ব্যবস্থাপক জানান। কারো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তিনি সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় নানা প্রস্তুতি চসিকের
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম থেকে ফেনী গেল অর্ধশতাধিক সাম্পান