সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবেঁধে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় আরও তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, আইনুল হোসেন ও মো. রাজন মিয়া। সিলেট সিটি পুলিশের সহকারী কমিশনার অমূল্য কুমার চৌধুরী বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে রাজন, মহানগর হাকিম সাইফুর রহমানের আদালতে আইনুল ও মহানগর হাকিম শারমিন খানম নীলার আদালতে রনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এর আগে শুক্রবার মামলার তিন আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আট আসামির মধ্যে ছয়জনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। খবর বিডিনিউজের।
শনিবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাজন, রনি ও আইনুলকে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির করে শাহপরান থানার পুলিশ। সন্ধ্যায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। আজ রোববার তাদের আদালতে হাজির করা হতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে মামলায় আরও দুই আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায়। তিনি বলেন, মামলার আসামি তারেক আহমদ ও মাহফুজুর রহমান মাসুমের নমুনা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের ডিএনএ নমুনার সাথে ধর্ষিতার ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওই গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনায় পরদিন সকালে এ গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।