ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস আরও তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। ১৫ মাসের গাজা যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে গত মাসে করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়া জিম্মিরা হলেন ইলাই শরাবি (৫২), অর লেভি (৩৪) এবং ওহাদ বেন এমি (৫৬)। গতকাল শনিবার গাজার মধ্যাঞ্চলীয় শহর দিয়ের এল–বালা থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। হামাস এই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পর রেডক্রসের সদস্যরা তাদের নিয়ে যায়। রেডক্রসের কাছে তাদের হস্তান্তরের জন্য হামাস দিয়ের এল–বালায় একটি মঞ্চ স্থাপন করে। মঞ্চে ও এর আশপাশে মুখোশ পরা হামাসের বহু সশস্ত্র যোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। এই জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি থাকা ১৮৩ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালানোর সময় এসব জিম্মিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আটকে রেখেছিল। বন্দি হওয়ার ১৬ মাস পর তারা মুক্তি পেল। হামাস এর আগে যে ১৮ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে তাদের তুলনায় এই তিন বন্দি অনেক শুকনা, দুর্বল ও বিবর্ণ ছিল। মুক্তি পাওয়ার পর এই তিন জিম্মিকে রেডক্রস গাজায় অবস্থান করা ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। এদের বিনিময়ে ইসরায়েল যে ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে তাদের মধ্যে ১৮ জন আজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন। অপর ১১১ জনকে গাজা যুদ্ধ চলার সময় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে হামাস জানিয়েছে।
বোমা–ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রিতে সায় : এদিকে ইসরায়েলের কাছে ৭৪০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম বিক্রিতে সায় দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ট্রাম্পের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৬৬ কোটি ডলারের হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ৬৭৫ কোটি ডলারের বোমা, গাইডেন্স কিটস ও ফিউজ বিক্রিতে অনুমোদন দিয়েছে। এসব যুদ্ধাস্ত্র নিজ ভূখণ্ডের সুরক্ষায় বর্তমান ও ভবিষ্যৎ হুমকি মোকাবেলায় ইসরায়েলের সক্ষমতা বাড়াবে এবং আঞ্চলিক হুমকি প্রতিহতে কাজ দেবে, মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থার (ডিএসসিএ) বিবৃতিতে এমনটাই বলা হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ট্রাম্প প্রশাসন এই যুদ্ধাস্ত্র বিক্রিতে অনুমোদন দিল, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।