কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্র তীরবর্তী মেরিন ড্রাইভ সড়কটি আরো প্রশস্ত করা হচ্ছে। প্রথমধাপে এক হাজার ৯২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সড়কের কক্সবাজার শহর থেকে উখিয়ার পাটুয়ারটেক পর্যন্ত ৩০ দশমিক ৪০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করা হবে। সেই সাথে রেজুখালের উপর স্থাপিত সংকীর্ণ ব্রীজটিও আরো প্রশস্ত করা হবে এবং মেরিন ড্রাইভে নিরাপত্তা রক্ষায় ৬০৮টি সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের বৈঠকে ‘কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রশন্তকরণ’ শীর্ষক এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই প্রকল্পসহ ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ১১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে ‘কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রশন্তকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি আগামী তিন বছরের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা হবে। এর মাধ্যমে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, পর্যটন শিল্পের প্রসার এবং প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ২০২২ সালের জুলাই হতে ২০২৫ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় দুই দিক দিয়েই বাড়বে মেরিন ড্রাইভ সড়ক। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এটা আরও দেখার মতো হবে। তখন এখানে মন খুলে হাঁটতে পারবেন, প্রাণ খুলে শ্বাস নিতে পারবেন। আপনারা মালদ্বীপে কেন যাবেন? মেরিন ড্রাইভে যান, দেশটাকে আরও বেশি করে দেখেন।
প্রকল্পের আওতায় আরো রয়েছে- ১১৩ দশমিক ২৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ, সাত লাখ ২৪ হাজার ঘনমিটার মাটি ভরাট, ২৯ দশমিক ৪২ কিলোমিটার ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ ও শূন্য দশমিক ৩২ কিলোমিটার ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট বাঁক সরলীকরণ কাজ।
এছাড়া ছয় হাজার ৪৮০ মিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, ৬৩ হাজার ৭২০ বর্গমিটার জিও টেক্সটাইলসহ সিসি ব্লক স্থাপন, ৫৪ হাজার ৩৬০টি টেট্রাপড নির্মাণ, ৯ হাজার ১২০ বর্গমিটার রোড মার্কিং, ইউটিলিটি স্থানান্তর, রেজুখালের উপর দুই লেনের একটি সেতু নির্মাণ (৩০৫ মিটার) এবং মেরিন ড্রাইভের নিরাপত্তায় ৬০৮টি সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন। একই সঙ্গে ৯ হাজার ১৮০ মিটার এল ড্রেন ও ১৩ হাজার ৯৪ মিটার ইউ ড্রেনের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাও নির্মাণ করা হবে।