রেকর্ড শনাক্তের পর দিন নতুন রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমে এসেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে গত এক দিনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পৌনে ৪২ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ১২ হাজার ১৯৮ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ২০৩ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১৩২ জন এবং ৭১ জন নারী।
আগের দিন দেশে রেকর্ড ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তার আগে রোববার রেকর্ড ২৩০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে গত ১ জুলাই থেকে সারা দেশে লকডাউনের যে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে, তা ঈদের জন্য আট দিন শিথিল করার ঘোষণা এসেছে গতকাল। ঈদের পর আবারও পুরনো বিধিনিষেধ ফিরিয়ে আনার কথা বলেছে সরকার।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৫ জনে। তাদের মধ্যে ১৬ হাজার ৮৪২ জনের প্রাণ গেছে করোনায়। গত এক দিনে কেবল ঢাকা বিভাগেই ৪৭২৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের ৩৯ শতাংশের কাছাকাছি। চট্টগ্রাম বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩৪৩ জন। আর যে ২০৩ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ৬১ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। খুলনা বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে আরও ৭ হাজার ৬৪৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬২৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪৩ হাজার ৬৩১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ হাজার ৭৫৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭০ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৯টি।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৭ জন, খুলনা বিভাগে ৫৩ জন, বরিশাল বিভাগে পাঁচজন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন, রংপুর বিভাগে ১৫ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে সাতজন রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১১৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছয়জন।