রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা পৃথক আরও একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন। তবে জামিন পেলেও এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি। আমীর খসরুর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত বৃহস্পতিবার দুই থানার চার মামলায় আমির খসরুকে জামিন দেওয়া হয়। ওই দিন চার মামলার মূল নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে একই মামলার অন্য আসামির জামিন শুনানির জন্য থাকায় আমীর খসরুর জামিন শুনানি হয়নি। পরে গত রোববার চার মামলার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। ওই দিন পল্টন থানার এক মামলায় ও রমনা থানার এক মামলায় তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।
বাকি দুটি মামলার জামিন শুনানির জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য করা হয়।
খসরুর পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান, মহসীন মিয়া, আব্দুল লতিফ তালুকদার, ইকবাল হোসেন, ওমর ফারুক ফারুকী ও জয়নুল আবেদীন মেজবাহ শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) এসি মো. নুরুল মুত্তাকিন ও হাসান রাশেদ পরাগ জামিনের বিরোধিতা করেন।
এ সময় খসরুর পক্ষে আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, ‘আসামি ৭৬ বছর বয়স্ক। তিনি বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তিনি সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি মর্যাদাসম্পন্ন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। জামিনে মুক্তি দিলে তিনি পালাবেন না।’ পরে শুনানি শেষে আদালত পল্টন থানার এক মামলায় জামিন দেন।
অন্যদিকে রমনা থানার এক মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার চারটি মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে। রোববার দুই মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার পল্টন থানার আরেক মামলায় জামিন দেওয়া হয়। রমনা থানার অন্য একটি মামলায় তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।’
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতার যে মামলাগুলো হয়েছিল তার মধ্যে দশটি মামলায় আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ পর্যন্ত ৯ মামলায় জামিন পেয়েছেন খসরু। রমনা থানার একটি মামলায় জামিন না হওয়ায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না বলেও জানান জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবরের বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। পরে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। খসরুর আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে বাকি আট মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে, পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ৩ নভেম্বর আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তাঁর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৮ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার দেখানো হয়।