আরও একজন রাবেয়া মঞ্চস্থ হলো চিটাগাং ক্লাবে

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৬ নভেম্বর, ২০২১ at ৮:০০ পূর্বাহ্ণ

‘আরও একজন রাবেয়া’ নামে নাটকের মঞ্চায়ন হল চিটাগাং ক্লাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্লাব মিলনায়তনে এ নাটক উপভোগ করেন ক্লাব সদস্যরা। নাট্যকার রবিউল আলম রচিত ও নির্দেশিত এ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র রাবেয়া, দরিদ্র চাষী ঘরের মেয়ে। ‘ইন্টার পাস শিক্ষিত’ পাত্র বছিরের জন্য বরপক্ষ দাবি করে হোন্ডা মোটরসাইকেল। পিতৃহীন রাবেয়ার মা ও ভাইয়ের তা দেয়ার সামর্থ্য নেই। ঘটকের মন্ত্রণায় হোন্ডা পরে দেয়ার অঙ্গীকারে বিয়েটা সম্পন্ন হয়। বিয়ের পরে রাবেয়া-বছিরের বেশ মিল হয়। কিন্তু ৬ মাসেও হোন্ডা না পাওয়ায় খোটা দিতে শুরু করে বছিরের মা মায়মুনা। রাবেয়ার মামাত ভাই মোজাম রাবেয়াকে নাইওর নিতে এলে হোন্ডার কথা তুলে তাকে দশ কথা শুনিয়ে দেয়। নাইওর না দিয়ে উল্টো রাবেয়ার সাথে মোজামের নির্মল হাসাহাসির মধ্যে ঢলাঢলি আবিষ্কার করে বছিরের মা। তার বর্ণনা দিয়ে ছেলের কান ভারি করে। ফাটল ধরায় স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে। একদিন রাবেয়াকে দেখতে আসে তার সই মামুদা। রাতের অন্ধকারে তার গায়ে হাত দিতে যায় বছির। যা রাবেয়া দেখে ফেলে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। বছির বউয়ের গায়ে হাত তোলা শুরু করে। রাবেয়ার দুর্ভাগ্যের কথা শুনে একসময় শেষ সম্বল ফসলি জমি বেচে প্রতিশ্রুত হোন্ডার টাকা যোগাড় করে রাবেয়ার মা-ভাই। সে টাকা দিতে এলে টাকা কম হওয়ায় বছির, তার মা মায়মুনা ও বছিরের বন্ধু খালেক মিলে তাদের অপমান করে। তাদের সামনেই রাবেয়ার গায়ে হাত তুলে বছির। পরে জুয়ার নেশা পেয়ে বসে বছিরের। চাকরির জন্য ঘুষের কথা বলে বাবার কাছ থেকে দশ হাজার টাকা আদায় করে সে। মেলায় গিয়ে পাগলা পানি খেয়ে, জুয়া খেলে সব টাকা হারায় বছির। ঘরে এসে বাপের কাছে আরো টাকা চায়। মাতাল বছিরকে পেটানো শুরু করে বাবা। মা মায়মুনা থামানোর চেষ্টা করে। পরে রাবেয়ার হাতের বালার দিকে চোখ পড়ে বছিরের। সেটা নিয়ে আবার জুয়ার টেবিলে ফিরতে চায় সে। মায়ের দেয়া বালা কিছুতেই দিতে রাজি নয় রাবেয়া। বছিরও ছাড়বে না। বছির লাথি মারে অন্তঃসত্তা রাবেয়াকে। রাবেয়া মারা যায়। যৌতুকের বলি হয় আরও একজন রাবেয়ার। এভাবেই যৌতুকের বলি হওয়ার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে নাটকে। চিটাগাং ক্লাবের সদস্যরাই এ নাটকে অভিনয় করেছেন। আমেনা চরিত্রে শুভ্রা বিশ্বাস, রাবেয়া চরিত্রে তাসনিম আবেদিন, সাত্তার চরিত্রে ইশতিয়াক রহমান, মামুদা চরিত্রে নাসরিন সরওয়ার মেঘলা, মোজাম চরিত্রে তৌহিদ ইসলাম, আক্কাস উদ্দিন ঘটকের চরিত্রে আজিজুল হাকিম, জরিপ আলী চরিত্রে মোহাম্মদ ফরহাদ আব্বাস, বছির চরিত্রে ডা. মু. বদিউল আলম, মায়মুনা চরিত্রে আশরাফুন্নেসা মুন্নী অভিনয় করেছেন। এছাড়াও মো. জালাল উদ্দিন রাসেল, ফারিন মাহমুদ টুশি, আমিরুল ইসলাম, মো. রুবাইত উদ্দীন, আহমেদ আজরাফ, জেড এম আলাউদ্দিন খান, সীমান্ত বড়ুয়া, আজমল হোসেন ও মো. সেলিম প্রমুখ এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নাটকের কলাকুশলী হিসেবে ছিলেন মো. জালাল উদ্দিন রাসেল, নাসরিন সরওয়ার মেঘলা, আসিফ ইবনে ইউসুফ, মইনুদ্দীন কোহেল, শাহীনূর সরোয়ার, মোহাম্মদ, ভুট্টো, সিনে আর্ক, আজমল হোসেন নবীন, মো. সেলিম, জান্নাতুন নাঈম মুক্তা ও মোহাম্মদ ফরহাত আব্বাস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ শিল্পকলায় ‘ইন দ্য মুড ফর লাভ পোয়েম’
পরবর্তী নিবন্ধহকিতে উদয়ন ও ব্রাদার্সের জয়লাভ