আরএসআরএম এমডি গ্রেপ্তার, পরে জামিন

চেক প্রতারণার ৭ মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১০ জুন, ২০২২ at ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ

শিল্পপ্রতিষ্ঠান রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (আরএসআরএম) এমডি মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত বুধবার রাত ১টায় ঢাকার গুলশান থেকে চেক প্রতারণা মামলার একটি পরোয়ানামূলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে হাজির করা হলে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। জামিনযোগ্য ধারার মামলা হওয়ায় শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট তার জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতের পেশকার নুর এ খুদা আদালতকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জনতা ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৭টি চেক প্রতারণা মামলায় আদালত মাকসুদুরের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

গ্রেপ্তার বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত বুধবার রাত ১টায় গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ১২২ নম্বর সড়কের বাসায় অভিযান চালিয়ে মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। শীর্ষ এই ঋণ খেলাপির কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা রয়েছে। এর মধ্যে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানামূলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আদালতসূত্র জানায়, ১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রামের ইস্পাত খাতের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান রতনপুর গ্রুপ। তাদের বার্ষিক টার্নওভার ছিল প্রায় ৭০০ কোটি টাকা এবং কর্মী সংখ্যা ছিল ৮০০। কিন্তু ৪০ কোটি টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের কারণে গ্রুপটির দুটি কারখানার উৎপাদন এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। গ্রুপটির কাছে বর্তমানে ১০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার ঋণ আটকে আছে। এ পাওনা আদায়ে মাকসুদুরসহ গ্রুপের কর্ণধারদের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের দুটি এনআই অ্যাক্ট মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এই গ্রুপটির কাছে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে জনতা ব্যাংকের লালদীঘি শাখা। এর মধ্যে মেসার্স মডার্ন স্টিল মিলস লিমিটেডের কাছে ৪০৯ কোটি, মেসার্স রতনপুর শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে ৩১৩ কোটি এবং এসএম স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের কাছে ৪৮২ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

আদালতসূত্র আরো জানায়, গত জানুয়ারির ২৭ তারিখ আরএসআরএম গ্রুপের এমডি মাকসুদুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত। জনতা ব্যাংকের ৩১২ কোটি ৮২ লাখ টাকা ঋণখেলাপির দায়ে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএম ডিপোয় উদ্ধার অভিযান শেষ
পরবর্তী নিবন্ধমুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই এই বাজেটের লক্ষ্য