জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত আক্রোশ বা পছন্দের ওপর ভিত্তি করে আয়করদাতাদের প্রতি নানাক্ষেত্রে বৈষম্য করা হয়েছে। এখন থেকে এসব বিষয়ে নজরদারি করবে রাজস্ব বোর্ড। আয়করদাতারা যাতে কর দিতে গিয়ে কোনো ঝামেলায় না পড়েন সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। প্রত্যেক কর্মকর্তা–কর্মচারীর বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের নজরদারি রয়েছে। পাশাপাশি মানুষ যাতে ঘরে বসে অনলাইনে কর দিতে পারে, সেই বিষয়টি সামনে এগিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ঢাকায় ৫০ হাজার মানুষ অনলাইনে আয়কর দিয়েছেন। এই সংখ্যা বাড়াতে ব্যবস্থা নিতে হবে। গতকাল সকালে আগ্রাবাদ সরকারি কার্যভবন–১ এ কর কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আয়করদাতাদের ভোগান্তি কমাতে আয়কর ব্যবস্থাপনাকে শতভাগ অনলাইন করতে হবে। আয়করদাতা ও সংগ্রহকারীর মধ্যে সম্পর্ক হবে মৌমাছি ও ফুলের মতো। মৌমাছি যেমন ফুলের কোনো ক্ষতি না করেই মধু সংগ্রহ করে মৌচাক বানায়। তেমনি আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের খেয়াল রাখতে হবে আয়কর দিতে এসে আয়করদাতারা যেন কোনো ধরনের ভোগান্তিতে না পড়েন। একই ব্যক্তি যাতে বার বার অডিটের নামে হয়রানিতে না পড়েন সেটিও খেয়াল রাখতে হবে।
পরবর্তীতে এনবিআর চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন। সভায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাকাউল্লা চৌধুরী ইরান আয়কর আইনের ওপর কিছু সংশোধনী প্রস্তাবনা লিখিত আকারে পেশ করেন। লিখিত প্রস্তাবনার উপর যে সকল সংশোধন, সংযোজন এবং বাতিল করার প্রস্তাব করেছেন তা নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন বলে সকলকে আশ্বস্ত করেন।
সভায় সমিতির সভাপতি মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বাকাউল্লা চৌধুরী ইরান ও যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী খালিদ বিন সরওয়ার জনির যৌথ সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন) জিএম আবুল কালাম কায়কোবাদ, চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কেএম জয়নাল আবেদীন, মো. জামাল উদ্দিন, মো. ওমর ফারুক অ্যাডভোকেট, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান অ্যাডভোকেট প্রমুখ।