আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষোভ শাস্তি বাড়ল হৃদয়ের

স্পোর্টস ডেস্ক | সোমবার , ১৪ এপ্রিল, ২০২৫ at ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ

ম্যাচ চলাকালে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও পরে সংবাদমাধ্যমে অপমানজনক মন্তব্য করায় শাস্তি বাড়ল তাওহিদ হৃদয়ের। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব অধিনায়ককে। প্রাথমিকভাবে মাঠে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোয় হৃদয়কে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার শাস্তির কথা বলেন ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুল। ক্লাব ও ক্রিকেটারের অনুরোধে পরে আর্থিক জরিমানা মওকুফ করা হয়। ম্যাচের পর দিন সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে তিন ডিমেরিট পয়েন্ট ও ৮০ হাজার টাকা শাস্তি বাড়ানো হয় হৃদয়ের। সব মিলিয়ে এখন হৃদয়ের নামের পাশে ৭টি ডিমেরিট পয়েন্ট। যে কারণে দুই ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকতে হবে মোহামেডান অধিনায়ককে। মিরপুর শেরই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার চির প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেডকে ৩৯ রানে হারায় মোহামেডান। ম্যাচে আম্পায়ারদের একাধিক সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মোহামেডান অধিনায়ক হৃদয়। পঞ্চম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে স্লিপে পারভেজ হোসেনের ক্যাচ নেন রনি তালুকদার। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকত। সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে প্রতিবাদ করেন হৃদয়সহ মোহামেডানের বাকি ক্রিকেটাররা। বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। পরে অষ্টম ওভারে ইবাদত হোসেন চৌধুরির বলে মোহাম্মদ মিঠুনের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি আরেক আম্পায়ার তানভির আহমেদ। সঙ্গে সঙ্গে তীব্র আক্রোশে হাতের ব্যান্ড মাটিতে ছুড়ে মারেন ইবাদত। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন লেগ আম্পায়ার শরফুদৌল্লা। সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে খেলা শুরুর আগে শরফুদৌল্লার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন হৃদয়। এসময় আঙুল উঁচিয়ে কিছু একটা বলতে থাকেন মোহামেডান অধিনায়ক। তাকে সরিয়ে নেন মিরাজ। আম্পায়ারকে জড়িয়ে ধরে সরিয়ে নেন মুশফিক। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওই সময়ের ঘটনা নিয়ে আরেক দফা ক্ষোভ উগড়ে দেন হৃদয়। ‘সব কিছু ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। হিট অব দা মোমেন্টে অনেক কিছু হয়। তবে আমার যেটা মনে হয়, ভুল করলে সেটা স্বীকার করা উচিত। অবশ্যই তাকে (শরফুদৌল্লা) আমরা সম্মান করি। সে আন্তর্জাতিক আম্পায়ার, আমরাও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এমন বড় ম্যাচে দুইএকটা সিদ্ধান্ত অনেক ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। শুধু ক্রিকেটারদের দোষ দিলেই হবে না। আম্পায়ারিংয়ে যদি দেখেন, দুইএকজন ছাড়া তারাও যে খুব ভালো করেন সেটাও কিন্তু না। তাই যখন কোনো কিছু জাস্টিফাই করেন, দুই দিক থেকেই করা উচিত।’ মাঠে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট শাস্তি পান হৃদয়। আর পরে সংবাদমাধ্যমে অপমানজনক মন্তব্যের কারণে আরও ৩টি ডিমেরিট পয়েন্টের সঙ্গে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তাকে। শাস্তি পেয়েছেন পেসার ইবাদতও। শনিবারই তিনটি ডিমেরিট পয়েন্টের পাশাপাশি ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তাকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইতিহাসে সর্বোচ্চ পদক দিতে যাচ্ছে লস এ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক এলএ২৮
পরবর্তী নিবন্ধজিপিএইচ ইস্পাত টার্ফ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ উদ্বোধন