আমেরিকায় তথ্য ও সমপ্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উপর হামলা চেষ্টার প্রতিবাদে এবং এ ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ‘নীরব ভূমিকা’র নিন্দা জানিয়ে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বীর চট্টলার বিপ্লবী ছাত্রসমাজের ব্যানারে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে জামালখান প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সিয়াম ইলাহী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের চট্টগ্রাম জেলা সংগঠক আঈদ আল ক্বাদেরী, ছাত্রনেতা নূরে আবরার রাজিনসহ জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্রনেতারা।
বক্তব্যে ছাত্রনেতারা বলেন, আমেরিকার কোনো রাষ্ট্রদূত বা মন্ত্রী বাংলাদেশে আসলে সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পুলিশ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে নিরাপত্তাকর্মীদের সামনেই হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে থাকা এবং গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা মাহফুজ আলমের ওপর নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলা উদ্বেগজনক। অথচ সরকার এ বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল বিবৃতি দেয়নি। নিজের উপদেষ্টার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ সরকার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারবে–এমন নিশ্চয়তা আমরা দেখি না।
কর্মসূচির শেষে নূরে আবরার রাজিন ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হল–বিদেশে রাষ্ট্রীয় কাজে গেলে বাংলাদেশের মন্ত্রীপরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হত্যাচেষ্টাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া, বিদেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনা, হামলার ঘটনায় সরকার কোনো পদক্ষেপ বা নিন্দা না জানানোয় এর জবাবদিহিতা করা, জুলাইয়ের নেতাসহ আহত ও শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পাচারকৃত অর্থ–সম্পদ দেশে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহার করা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।