আমেরিকায় গাড়ি রপ্তানি স্থগিত করল ব্রিটেনের জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার

| রবিবার , ৬ এপ্রিল, ২০২৫ at ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ

ব্রিটেন থেকে আমেরিকায় এখন আর যাবে না বিলাসবহুল গাড়ি। অন্তত এক মাসের জন্য গাড়ি পাঠানো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেনের অন্যতম গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার। গতকাল শনিবার সংস্থার তরফে জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘পাল্টা শুল্ক’ আরোপের সিদ্ধান্ত কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সেই পথই এখন খুঁজতে হবে। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার পর আমেরিকায় গাড়ি রপ্তানির ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তাদের ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে নতুন বাণিজ্যশর্ত নিয়ে কাজ চলছে। তাই কিছু স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এপ্রিল মাস থেকে আমেরিকায় গাড়ি পাঠানো স্থগিত রাখা হবে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য এই পদক্ষেপ খুবই জরুরি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর আমেরিকা ব্রিটেননির্মিত গাড়ির বড় বাজার। অন্তত ২০ শতাংশ গাড়ি আমেরিকায় রপ্তানি হয়। জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলির জন্য আমেরিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বছরে চার লক্ষ বিলাসবহুল গাড়ি তারা বিক্রি করে। সেই বিক্রির প্রায় এক চতুর্থাংশই আমেরিকায় রপ্তানি হয়। গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের উপর পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করে। ট্রাম্পের ঘোষণার পর বিভিন্ন দেশ যেমন আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তেমনই মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক চাপানোর কথাও ঘোষণা করেছে। উল্লেখ্য, ট্রাম্প ব্রিটেনের উপর ১০ শতাংশ ‘পাল্টা শুল্ক’ আরোপ করেছে। তবে বিদেশি গাড়ির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে বলেও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আমেরিকায় রপ্তানি হওয়া গাড়ির উপর শুল্ক আরোপ হওয়ায় বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা অন্যান্য দেশে গাড়ি উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। এবার জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার আপাতত আমেরিকায় গাড়ি পাঠানো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল। দ্বিতীয় বার মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসার পর থেকেই আমেরিকার শুল্ক নীতি বদলে ফেলেছেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, যে সমস্ত দেশ আমেরিকার পণ্য থেকে যত শুল্ক নিয়ে থাকে, তাদের উপরেও পাল্টা তত শুল্কই চাপানো হবে। এ বিষয়ে আমেরিকার স্বার্থের কথাই শুধু মাথায় রাখবে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের নতুন নীতিতে প্রায় প্রতিটি দেশের উপরেই ন্যূনতম ১০ শতাংশ হারে শুল্ক চাপানো হয়েছে। তবে আমেরিকায় যে সমস্ত পণ্যের উৎপাদন নেই, যার জন্য অন্য কোনও না কোনও দেশের উপরে আমেরিকাকে নির্ভর করে থাকতে হয়, সেই পণ্যগুলিকে শুল্কের তালিকা থেকে বাদ রেখেছেন ট্রাম্প।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারা বরুমচড়ায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধমিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ৩৩৫৪, নিখোঁজ ২২০