কাউকেই প্রায় বিশ্বাস করেন না বলে নিজ মুখেই জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি’র সঙ্গে ফোনে একান্ত এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প এ কথা বলেন। পুতিনকে নিয়ে আরও এক বার নিজের হতাশার কথা জানান তিনি। ট্রাম্প বলেন, পুতিকে নিয়ে তিনি হতাশ, তবে তার সঙ্গে কাজ এখনও শেষ হয়নি। পুতিনকে বিশ্বাস করেন কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি প্রায় কাউকেই বিশ্বাস করি না। সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয় হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিস থেকে, তার ঠিক আগে তিনি নেটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা এবং ৫০ দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি না হলে রাশিয়ার ব্যবসায়িক অংশীদারদের ওপর কড়া শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিবিসি–র সঙ্গে এই সাক্ষাৎকার দেন ট্রাম্প। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম, চারবার আমরা চুক্তির একেবারে কাছাকাছি পৌঁছেছি। আমি বললাম, এবার মনে হয় হয়ে গেল। কিন্তু পরদিনই তিনি (পুতিন) কিইভে একটি ভবন গুঁড়িয়ে দিলেন। সাংবাদিক যখন জিজ্ঞেস করেন, পুতিনের সঙ্গে কাজ শেষ কিনা, ট্রাম্পের উত্তর ছিল, আমি তাকে নিয়ে হতাশ, তবে তার সঙ্গে কাজ এখনও শেষ হয়নি। খবর বিডিনিউজের।
রক্তক্ষয় বন্ধ করাতে পুতিনকে কীভাবে বশে আনবেন সে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, আমরা সেটি নিয়ে কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, আমরা ভালো আলোচনা করব। আমার মনে হবে আমরা চুক্তির কাছাকাছি আছি। আর তারপর তিনি (পুতিন) কিইভে ভবন গুঁড়িয়ে দেবেন। রাশিয়া সমপ্রতি ইউক্রেনে হামলা বাড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন জোর দিয়ে বলে আসছেন তিনি শান্তি চান। তবে যুদ্ধের মূল কারণটি আগে সমাধান হতে হবে বলে দাবি তার। তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হয়েছে কিইভ, নেটো এবং পশ্চিমাদের দিক থেকে রাশিয়ার প্রতি বহির্মূখী হুমকির কারণে।
বিবিসি’র সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাৎকারের সময় এসেছে নেটো প্রসঙ্গও। ট্রাম্প আগে পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোকে অপ্রয়োজনীয় বললেও এখন আর তা মনে করছেন না বলেই জানিয়েছেন। তার ভাষায়, নেটো এখন নিজস্ব খরচ বহন করছে। তারা প্রতিরক্ষা খাতে মোট জাতীয় আয়ের ৫ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এটা অভাবনীয়। তিনি আরও বলেন, ছোট দেশগুলোর নিরাপত্তায় নেটোর সম্মিলিত প্রতিরক্ষা চুক্তি এখন গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠেছে।