বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর দুটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। একটিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুরের সাথে ফোনে কথা বলার সময় তাকে ‘মেরে হাড্ডিগুড্ডি ভেঙে দেবেন’ বলে হুমকি দিতে শোনা গেছে। অপর অডিওতে সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামীকে গালাগালি করতে শোনা যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই দুটি অডিও গতকাল সারা দিন বাঁশখালীসহ বিভিন্ন স্থানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
জানা গেছে, আবদুল গফুরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের অডিওটি ৩০ জুনের। এতে মোস্তাফিজুর রহমানকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার বিরুদ্ধে এগুলো কি বলেছিস? আমি কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছি?’ তখন গফুর বলেন, ‘আমি বলি নাই। চেয়ারম্যানরা তো তাই বলছেন।’ তখনই গালাগালি করে মোস্তাফিজ বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে আসি, তোরে মেরে হাড্ডিগুড্ডি ভেঙে দিব।’
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান সিআইপির নেতৃত্বে বাঁশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ অধ্যাপক আবদুল গফুর। সেখানে তিনি সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। বলেন, আওয়ামী লীগকে যারা নিজের জন্য ব্যবহার করেছেন তাদের দিন শেষ। কথায় কথায় নিজের বাড়ি করিনি, দলীয় অফিস করেছি বলে দাবি করেন। অথচ এ কার্যালয় করতে … (কয়েকজনের নাম) টাকা দিয়েছেন।
তার এ বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসে। তারই জের ধরে সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামীকে ফোন করে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী গালাগালি করেন বলে অভিযোগ। জবাবে সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামী বলেন, ‘আমি তো নিজ থেকে কিছু বানিয়ে লিখি নাই। গফুর সাহেব মিটিংয়ে যা বলছে, তা লিখছি আর কি।’ এরপর মোস্তাফিজ বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে আসলে তোর হাড্ডি–মাংস ভেঙে ফেলব।’
এ ব্যাপারে জানতে গতকাল রাতে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।