সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমায় একই বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী চন্দনাইশের গিয়াস উদ্দিনসহ ৩ প্রবাসীর পরিবারে ৩ লাখ টাকা করে ৯ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দিল চন্দনাইশ সমিতি ইউ.এ.ই। মারা যাওয়ার অপর ২ জন হলেন পটিয়া উপজেলার বাহুলি এলাকার মোহাম্মদ লোকমানের পুত্র মো. আমিরুল ইসলাম কাইয়ুম ও উত্তর শ্রীমাই এলাকার এলাকার আবদুল মাবুদের পুত্র রাকিব হাসান। গত রোববার মারা যাওয়া ৩ প্রবাসির পরিবারের নিকট আর্থিক অনুদান প্রদান উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সমিতির সভাপতি লায়ন নজরুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন। সমিতির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বদিউল আলমের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুবাইয়ের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম রাহী, সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী মিজানুর রহমান, শহিদুল ইসলাম মঞ্জু প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত ৮ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমায় বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় একই সাথে মারা যায় চন্দনাইশের হাশিমপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মুন্সিরপাড়া এলাকার আবুল হোসেন প্রকাশ কালু সওদাগরের পুত্র গিয়াস উদ্দিন (২৩), পটিয়ার বাহুলি এলাকার আমিরুল ইসলাম কাইয়ুম ও লালারখীল এলাকার মোহাম্মদ রাকিব। তারা তিনজনই বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি মুদি দোকানে চাকুরি করতো। পরবর্তীতে সমিতির সার্বিক তত্ত্বাবধানে মৃত্যুবরণকারী ৩ প্রবাসীর লাশ মাত্র ১২ দিনের মাথায় দেশে এনে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। সমিতির
নেতৃবৃন্দরা জানান, ২০১৯ সালে চন্দনাইশ সমিতি ইউএই প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রবাসে মৃত্যুবরণকারী ২২ জনের লাশ দেশে এনে পরিবারের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে এবং প্রতি পরিবারের নিকট আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে।












