জন্মের পর থেকে মানুষের ভিতর কী ঘটে বা আগামীতে কী ঘটবে তা কেউ বলতে পারবে না। তবুও একটু ভালো থাকার জন্য, সুখে থাকার জন্য রাতদিন শ্রম দিয়ে এগিয়ে যায়। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এক সময় চলতে চলতে পৌঁছে যায় অসম্ভব সুন্দর বাস্তবতা বা সত্যের কাছে। নতুন করে নিজেকে তৈরী করে নেয়। এতে কেউ কেউ সাফল্যের শিখরে উঠে যায়। যখন অপ্রত্যাশিত ভাবে প্রচুর সম্পদের মালিক বনে যায় তখন অনেকে বেপরোয়া আত্মকেন্দ্রিক হয়ে মনুষ্যত্ব ভুলে কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আর কেউ মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে দেশের দশের সমাজের কাজে এগিয়ে আসে। অনেকে অর্থের দাপটে সব কিছু ভুলে গিয়ে নিজে মধ্যে অহমিকা ভাব চলে আসে। তার আচার আচরণে কথা বার্তায় রীতিমত অসামাজিক হয়ে উঠে। এটা কখন হওয়া উচিৎ নয়। আমাদের এই মায়ার বাঁধন জীবনটা একটি স্বল্প পরিসর মঞ্চ। ক্ষণিকের মেহমান মাত্র। এই অতিথিশালায় সীমিত পাওয়াতেই সন্তুষ্টি থাকা ভালো। আজ আছি তো কাল নাই। আমাদের অস্তিত্ব হাওয়ায় ফুলানো বেলুনের মত। কোনোভাবেই তা ভুললে চলবে না। মানুষে মানুষে ধর্ম নিয়ে, জাত নিয়ে, অর্থ নিয়ে, বড় লোক, ছোট লোক নিয়ে এত পার্থক্য কেন! সকলের মনে রাখতে হবে আমরা সবাই মানুষ, একই রক্তে গড়া।
তাই বলি কিসের এত অহংকার, এত আমিত্ব। আমিও দুইদিন পর সেই পথের পথিক। সময় থাকতে সদ কাজে, ভালো আচরণে সচেতন থাকা সকলের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। এমন কাজ করতে হবে মৃত্যুর পরও যেন প্রজন্ম স্মরণ করে।