মানুষ কী বলবে!
এই ভয়ে তুমি বলোনি মনের কথা।
সমাজ কি ভাববে!
এই ভয়ে তুমি লুকিয়েছো মনের ব্যথা।
নির্ঘুম কতো রাত্রি কেটেছে তোমার!
তোমার না ঘুমানো রাতের খবর
জানে না সমাজপতি।
একাকী চলার পথে
তুমি হোঁচট খেয়েছো কতো!
তুমি আছড়ে পড়েছো, তোমার ঝরেছে রক্ত…
একাকীই আবার উঠে দাঁড়িয়েছো তুমি।
হেরে যাওনি, লড়েছো একা একা!
তবু মুখ ফুটে তুমি কাউকে বলোনি
তোমারও অনেক কষ্ট আছে,
তোমার বুকেও জমানো রয়েছে
অনেক না বলা কথা।
হায়েনার মতো লোভাতুর কতো চোখ–
তোমায় গিলে গিলে খেতে চায় প্রতিদিন।
তোমার একাকী জীবন, একার লড়াই,
নিজেকে বাঁচাতে একাই তুমি
লড়ে যাও প্রতিদিন।
একাকী জীবন যেন অপরাধ ভারী,
এই সমাজে এক একাকী নারী–
যেন সহজলভ্য, যেন উপরি পাওয়া,
যেন হাত বাড়ালেই একাকী নারীকে
ছোঁয়া যায় প্রতিদিন।
তোমারও একটা জীবন আছে,
চোখের কোণে স্বপ্ন আছে,
বুকের ভিতর আশা আছে…
গল্পের মতো একটা জীবন হয়তো
পাবে তুমি একদিন।
ভালোবেসে কেউ ধরবে দু’হাত।
নির্ভরতায় কেটে যাবে রাত।
অমানিশা কেটে আসবে প্রভাত।
দুঃখের মেঘ সরিয়ে দিয়ে,
ভালোবাসায় বুক ভরিয়ে দিয়ে–
সাদাকালো এই জীবনটা তোমার
করে দেবে কেউ রঙিন।
সমাজপতি আর সমাজের ভয়ে
মনের ইচ্ছেগুলো তোমার–
তুমি দিওনা জলাঞ্জলি।
এগিয়ে যাও, ছিনিয়ে নাও।
তুমিও পারো, বুঝিয়ে দাও।
নিজের অধিকার নিতে গলা চড়াও।
মনের কথা নির্ভয়ে বলো।
ইচ্ছেগুলোকে মনের কোণায়
অযত্ন আর অবহেলায়–
রেখোনা ছুঁড়ে ফেলি।
মানুষ কী বলবে!
এই ভয়ে আর গুটিয়ে থেকো না।
গুটিয়ে থেকো না নারী।
সমাজের চোখে চোখ রেখে বলো,
চেয়ে দেখো তোমরা…”আমিও পারি”।