কারো কারো মতে সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে। কারো কারো মতে এখনো বাকি রয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে বাংলাদেশ সরকারের মনোভাবের ওপর। কারণ দেশের যে রাজনৈতিক অবস্থা তাতে মামলায় জড়িত সাকিব দেশে ফিরলেও গ্রেফতার হবেন কিনা সে ভয় এবং সংশয় রয়েই যাচ্ছে। আর এমন অনিশ্চিত একটি পরিবেশে সাকিব দেশে ফিরবেনা সেটা তিনি আগেই জানিয়েছেন। সাকিব জানিয়েছেন নিরাপদে দেশে আসার পর নিরাপদে দেশ ত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবেই তিনি দেশে ফিরে দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে যদি সুযোগ পান তাহলে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচটা খেলবেন। সাকিব আল হাসান তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা যে দেশের মাটিতে খেলতে চান সেটা কানপুর টেস্টের আগেই সে ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে কিনা, তা নির্ভর করছে অনেক যদি–কিন্তুর উপর। যেহেতু পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব, রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তিনি দেশে ফিরলে বিপদে পড়তে পারেন। এরই মধ্যে তার নামে হত্যা মামলা হয়েছে, শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলায় হয়েছে জরিমানা।
সাকিব দেশে ফিরলে জনগণের তোপের মুখে পড়তে পারেন। হতে পারে গ্রেফতারও। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তাই ক্রিকেট বোর্ডের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছেন, তাকে যেন নিরাপত্তা দেয়া হয়। সেইসঙ্গে খেলা শেষ করে যেন নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়তে পারেন। তবে সাকিবের এমন চাওয়ায় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বোর্ড কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছ থেকে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ সরাসরিই বলেছেন সাকিবের নিরাপত্তা বোর্ডের এখতিয়ার নয়। এটা সরকারের ব্যাপার। এরপর যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া জানান, খেলোয়াড় সাকিবের নিরাপত্তা দেয়া হবে। তবে রাজনীতিবিদ সাকিবকে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। সবমিলিয়ে সাকিবের দেশে ফিরে খেলার সম্ভাবনা অনেকটাই ধোঁয়াশায়। তবে এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখতে গিয়ে বৃহস্পতিবার ক্রীড়া উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেছেন সাকিব এমন একজন খেলোয়াড়, যার দেশের জন্য অনেক অবদান রয়েছে। তিনি যেহেতু বাংলাদেশে নিজের শেষ টেস্ট খেলতে চান, আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই সেই সুযোগ তিনি পান। তিনি বলেন আমাদের একজন খেলোয়াড়কে অবশ্যই আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা ভিন্ন বিষয়। সেই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না। কারণ সেটা আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমরা সাকিব আল হাসানের নিরাপত্তার কথা এরইমধ্যে বলেছি সেটা আমরা নিশ্চিত করব। তিনি বলেন সাকিবের মত একজন ক্রিকেটার দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট ম্যাচটা খেলার সুযোগ পাওয়া উচিত। আমরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি আমরা তাকে সব ধরনের নিরাপত্তা দেব। দেশের মাটিতেই সাকিবের ফেয়ারওয়েলটা হোক সেটাই চান ক্রীড়া উপদেষ্টা।